গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের (Congress ) সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সিপিআইএম (CPIM)। কিন্তু খাতাই খুলতে পারেনি 34 বছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্ট। তবে, জোট ভেঙে কয়েকটি নির্বাচনে লড়াই করে কিছুটা স্বস্তির জায়গায় আসছে তারা। শনিবার, বালিগঞ্জ (Ballyganj) উপনির্বাচনের ভোট গণনার সঙ্গে সঙ্গে সেই তত্ত্বই আবার সামনে উঠে এলো। গণনা শুরু থেকেই দ্বিতীয় স্থান বজায় রাখলেন সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম (Sayara Shah Halim)।

এদিন ভোট গণনার শুরু থেকেই বালিগঞ্জ কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিম। কংগ্রেস ছিল তৃতীয় স্থানে, আর চতুর্থ স্থানে বিজেপি। যদিও দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন। তবে, সেখানেই আটকে থাকতে হয় তাঁকে; বাম প্রার্থীকে টপকাতে পারেননি তিনি। বালিগঞ্জে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে তৃণমূলকে সায়রা হারিয়েছেন বলে খবর। বিজেপি প্রার্থীর মতোই সিপিআইএমের সায়রা ভোটের ময়দানে নতুন কিন্তু অভিষেকেই নজর কাড়লেন তিনি তৃণমূলের তুমুল দাপটের মধ্যেও দলকে সম্মানজনক জায়গায় দাঁড় করালেন সায়রা। 18 রাউন্ডের শেষে 30818 টি ভোট পেয়েছেন তিনি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই তরুণ প্রজন্মকে ভোটে প্রার্থী করে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছিল বামেরা। তবে, বিধানসভা নির্বাচনে তাদের সেই রণকৌশল বিন্দুমাত্র কাজে আসেনি। হারানো দুরস্ত তৃণমূলকে সামান্যতম লড়াই দিতে পারেনি বামেরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপির পরে গিয়ে স্থান হয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় না পেলেও লড়াই করেছেন সায়রা। বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে দলে তরুণ ব্রিগেডকে জায়গা করে দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। সায়রার ভোট সেই রণকৌশলকে আশা জাগালো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন:Meghalaya Strom: বিধ্বংসী সাইক্লোনের তাণ্ডবে ভাঙল দু’হাজার ঘর বাড়ি
