রাজ্যের বিষয় হোক বা শাসকদলের- যে কোনও কিছু নিয়ে টুইটার হ্যান্ডেলে (Tweeter Handle) খড়্গহস্ত হন বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু আসানসোল (Asansole) লোকসভা ও বালিগঞ্জ (Ballyganj) বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভরাডুবির পরেও কোনও টুইট নেই অমিত মালব্য (Amit Malavya) থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের রাজ্যের কোনও শীর্ষ নেতার। আর এই নিয়ে টুইট করেই তাঁদের তীব্র খোঁচা দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,

“জেতা আসানসোল তিন লাখে হার। বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হয়ে তৃতীয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, মিডিয়ার সমর্থন, বিজেপির বড় বড় কথা সবই তো ছিল। কই, রাজ্যপালের টুইট কই? কই, শুভেন্দুর ডায়লগবাজি কই? কই, মালব্যর প্রলাপ কই? তৎকাল বিজেপির শোকসভা চলছে নাকি? নীরবতা পালন?”

জেতা আসানসোল তিন লাখে হার।
বালিগঞ্জে জামানত জব্দ হয়ে তৃতীয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, মিডিয়ার সমর্থন, বিজেপির বড় বড় কথা সবই তো ছিল।কই, রাজ্যপালের টুইট কই?
কই, শুভেন্দুর ডায়লগবাজি কই?
কই, মালব্যর প্রলাপ কই?
তৎকাল বিজেপির শোকসভা চলছে নাকি? নীরবতা পালন?— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 17, 2022
দুই কেন্দ্রেই বিজেপি-র হার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি গত দুবার তাদের হাতেই ছিল। এই কেন্দ্রের বিধানসভা কেন্দ্রের একটিও তাদের দখলে। তারপরও তিনলাখের ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপির দম্ভ ছিল, যে কাউকে ওই কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েই জিতিয়ে আনতে পারবে তারা। সেই মতো ‘ঘরের মেয়ে’ অগ্নিমিত্রা পালকে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু তিনি শুধু লোকসভায় হেরে যাওয়াই নয়, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেও হারেন তিনি। অপর দিকে বালিগঞ্জ কেন্দ্রেও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ শুধু হারাই নয়, তিন নম্বরে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। জামানত জব্দ হয়েছেন তিনি।

কিন্তু এই বিষয় নিয়ে টু শব্দ নেই বিজেপি নেতৃত্বের। শুভেন্দু অধিকারী থেকে অমিত মালব্য সবাই নীরব। শুধু তাই নয়, রাজ্যের দোষ খুঁজে সব সময় বিরোধী নেতাদের মতো টুইট করেন যে রাজ্যপাল, তিনিও এই বিষয় নিয়ে মৌন ব্রত পালন করছেন। তার প্রেক্ষিতেই কটাক্ষ কুণালের।

আরও পড়ুন:“এভাবে চললে বাংলা থেকে বিজেপি মুছে যাবে”, ফের বিস্ফোরক অনুপম, সমর্থন দিলীপের
