প্রয়াত তিনবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্যারা সুইমার Para Swimmer) অমর্ত্য চক্রবর্তী (Amartya Chakraborty)। বুধবার দিল্লির এক সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত ছেলের দেহ হাওড়ার সালকিয়ার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই অমর্ত্যের বাবা অমিতোষ চক্রবর্তীর। অমর্ত্যর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সব সঞ্চয় শেষ তাঁর বাবার। এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানালেন অমিতোষ চক্রবর্তী।

প্যারা সুইমিং প্রতিযোগিতায় তিনবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। হাওড়ার সালকিয়ার প্যারা সুইমার অমর্ত্য চক্রবর্তী জীবনের লড়াইয়ে হেরে গেলেন। বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। বুধবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয়াদিল্লির জি বি পন্থ হাসপাতালে প্রয়াত হন অমর্ত্য। তবে তাঁর মৃত্যুর পর চিন্তায় পড়েছেন বাবা অমিতোষ চক্রবর্তী। নিজের সব সঞ্চয় ছেলের চিকিৎসায় খরচ করে দিয়েছেন। আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ছেলের দেহ সালকিয়ার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার মতো টাকাও নেই তাঁর কাছে। অমিতোষ জানিয়েছেন, প্যারা সাঁতারু হিসেবে অমর্ত্যকে নিষিদ্ধ করার পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তার পর থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৯ বছরের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্যারা-সাঁতারু।

এদিন অমিতোষ চক্রবর্তী এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেন,” অমর্ত্যর চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার সব সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। দু’বছর পরেই চাকরি থেকে অবসর নেব। ছেলের দেহ বিমানে করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাও আমার কাছে নেই।

২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সাব-জুনিয়র ও জুনিয়র স্তরে প্যারা-সাঁতার প্রতিযোগিতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন অমর্ত্য।
আরও পড়ুন:CSK: চোটের কারণে সিএসকে থেকে ছিটকে গেলেন অ্যাডাম মিলনে, এলেন মাথিসা পাথিরানা
