দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুর ২.৩০টা নাগাদ জাহাঙ্গিরপুরী পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরুপা পোদ্দার, শতাব্দী রায়, সাজদা আহমেদ এবং অর্পিতা ঘোষ।

তৃণমূলের কমিটি এদিন জাহাঙ্গিরপুরী পৌঁছে দেখেন যে গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তাঁরা ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড খোলার অনুরোধ জানালে পুলিশ জানায় মসজিদে যাওয়ার রাস্তা এদিকে নয় অন্যদিকে। কিন্তু পুলিশকর্মীদের দেখানো রাস্তায় গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধিরা বুঝতে পারেন যে তাঁরা মন্দির থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছেন। এমনকী যে মসজিদকে কেন্দ্র করে হনুমান জয়ন্তীর দিন হিংসার ঘটনা ঘটেছিল প্রথমে এদিন সেই মসজিদের কাছে পৌঁছতেই পারেননি তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এরপর স্থানীয়দের বাসিন্দাদের সাহায্যে সেই মসজিদের একেবারে কাছে পৌঁছে যান সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। ফিরে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।

তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার দুপুরেই দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে পৌঁছয় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে যা হয়েছে তা মারাত্মক ঘটনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। একতরফা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেস কখনই সমর্থন করে না। এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম জাহাঙ্গিরপুরীর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘুরে দেখেছেন এলাকা। আমি দিল্লিতে থেকেই বিষয়টিতে নজরদারি করব।
