পার্টি মেম্বারশিপ রিনিউ করলেন না, সিপিএম ছাড়লেন অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা

গতবছর ২১ জুলাই তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর পরই সেখানে চার কিস্তির একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। বিষয় ছিল ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’। লেখিকা অজন্তা বিশ্বাস

তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় উত্তর সম্পাদকীয় লেখার জেরে আগেই অনিল-কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে (Ajanta Biswas) সাসপেন্ড করেছিল সিপিএম। সেই সময়ও অবশ্য তাঁর সাসপেনশনের বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি বঙ্গ সিপিএমের সর্বকালের অন্যতম ‘সেরা’ রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা। এবার সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদই রিনিউ করলেন না অজন্তা। অর্থাৎ, কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ করেই ফেললেন অনিল-কন্যা।

অজন্তার পার্টি সদস্যপদ ছিল কলকাতা জেলা কমিটির অন্তর্গত অধ্যাপক শাখায়। যেখানে গত মার্চ মাসে পার্টি সদস্যপদ রিনিউয়ালের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সম্মেলন ও পার্টি কংগ্রেসের জন্য স্ক্রুটিনির কাজ করতে এবার সামান্য বিলম্ব হয়েছে। সেই স্ক্রুটিনির কাজ শেষ দেখা যাচ্ছে, অজন্তা তাঁর পার্টি মেম্বারশিপ রিনিউ করেননি। প্রায় ২০ বছর সিপিএম পার্টির মেম্বার ছিলেন তিনি। নিয়ম করে রিনিউ করেছেন মেম্বারশিপ। এবারই ব্যতিক্রম। ফলে ধরে নেওয়াই যায় তিনি সিপিএম ত্যাগ করলেন।

আরও পড়ুন-প্রয়াগরাজ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা, NHRC-কে চিঠি তৃণমূলের

প্রসঙ্গত, গতবছর ২১ জুলাই তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলা দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর পরই সেখানে চার কিস্তির একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। বিষয় ছিল ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’। লেখিকা অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas)। তাঁকে রবীন্দ্রভারতীর অধ্যাপিকা হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছিল। কিন্তু অজন্তার আরও একটি পরিচয় আছে। তাঁর বাবার নাম অনিল বিশ্বাস। সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে কী করে বিপক্ষ দলের মুখপত্রে লেখেন, এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। আলিমুদ্দিন এবং প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের অন্দরে জোর বিতর্ক শুরু হয়। অনেক জলঘোলার পর অজন্তাকে শো-কজ করে সিপিএম।

জাগো বাংলায় তাঁর লেখা প্রসঙ্গে অজন্তা বরাবরই বলে এসেছেন, ”আমি ইতিহাসের শিক্ষার্থী। আমার গবেষণার অন্যতম বিষয় বঙ্গ নারী। আমার লেখায় কংগ্রেসের নেত্রীদের কথা যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে বামপন্থী নেত্রীদের অবদানের প্রসঙ্গও। বঙ্গের রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা নেত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন তিনি পুরুষ-প্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।” যদিও অজন্তার এই ব্যাখ্যা সিপিআইএম নেতাদের খুশি করতে পারেনি। বরং তাঁরা অজন্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সাসপেন্ড করেন। যদিও সেই সাসপেনশনকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মনোভাব থেকে উড়িয়ে এবার সিপিএমটাই ছেড়ে দিলেন অনিল-কন্যা অজন্তা বিশ্বাস।



Previous articleপ্রয়াগরাজ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা, NHRC-কে চিঠি তৃণমূলের
Next articleকাঁথি পুরভোটের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের