হতে পারেন তিনি নোবেলজয়ী। হতে পারেন তিনি দক্ষ প্রশাসক। হতে পারেন তিনি জনপ্রিয় নেত্রী। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ছিল আর্থিক দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ। ঘুষ নেওয়ার একাধিক প্রমাণ মিলেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেইসব দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে আদালতেও। যা নিয়ে তোলপাড় ছিল তাঁর দেশ। এবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগে মায়ানমারের প্রাক্তন শাসক আং সান সুচিকে কারাদণ্ডের সাজা শোনাল সে দেশের আদালত।

বন্ধ দরজার আড়ালে হয়েছে সেই শুনানি। শুনানি শেষে আজ, বুধবার আং সান সুচিকে ৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুচির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজনৈতিক একটি দলের থেকে ১১.৪ কেজি সোনা এবং নগদ ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। নগদের পরিমাণ আনুমানিক ৬ লক্ষ ডলার। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে। এদিন সেই মামলাগুলির একটির রায় ঘোষণা করল জুন্তা আদালত। যদিও নোবেলজয়ী এই রাজনীতিক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছেন।


অন্যদিকে, সূচি প্রভাবশালী হলেও ন্যায়-বিচারের প্রশ্নে
মায়ানমারের জুন্টা আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ৬ লক্ষ ডলার ঘুষ নিয়েছেন নোবেলজয়ী এই নেত্রী। নগদ এবং সোনায় দেওয়া হয়েছিল ঘুষ। সুচির বিরুদ্ধে ১১টি দুর্নীতির মামলা রয়েছে। এক একটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ১১টির মধ্যে এবার একটিতে দোষী সাব্যস্ত মায়ানমারের বহিষ্কৃত নেত্রী। বাকিগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে দশকের পর দশক জেলেই কাটাতে হবে ৭৬ বছরের নেত্রীকে।

প্রসঙ্গত, গতবছর ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে পতন হয় সুচির সরকারের। তার পর থেকে চরম বিশৃঙ্খলা মায়ানমারে। বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১,৭০০ জন। গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ হাজার জন। সুচিকে ইতিমধ্যে সেনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, কোভিড বিধি এবং টেলিভিশন আইন ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সেজন্য তাঁর ৫ বছরের জেলও হয়েছে। তবে আপাতত গৃহবন্দি সুচি। জেলে যেতে হচ্ছে না। ১১টি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিজের বাড়িতেই বন্দি থাকবেন।


আরও পড়ুন- ৪ মে বাজারে আসছে LIC-র আইপিও, শেয়ারের দাম প্রকাশ্যে আনল সেবি
