২০২২ এর প্রথম সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse) নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহল তুঙ্গে। ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের সূর্যের প্রখর তেজ থেকে মিলবে মুক্তি, কারণ সূর্যকে ঢেকে দেবে চাঁদ (Moon)। এপ্রিলের শেষ দিনেই সূর্যের (Sun) সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ঢেকে ফেলতে চলেছে ‘কালো’ চাঁদ (Black moon)।

যে কোনও গ্রহণ নিয়েই কৌতূহল আর আগ্রহ থাকে চরমে। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। শনিবার ভারতীয় সময়(Indian time) সকাল ১২.১৫ থেকে ২.১১ পর্যন্ত স্থায়ী হবে গ্রহণকাল। তবে ভারত থেকে এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না। এইবারের গ্রহণের অন্যতম বিশেষত্ব হতে চলেছে ‘ব্ল্যাক মুন’(Black Moon) বা কালো চাঁদ। ‘নাসা’র(NASA) তরফ থেকে জানান হয়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার একাংশ থেকে যেমন চিলি, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, দক্ষিণপশ্চিম বলিভিয়া, দক্ষিণপূর্ব পেরু ও ব্রাজিলের দক্ষিণপশ্চিম অংশের একাংশ থেকে দেখা যাবে গ্রহণ। এছাড়াও আন্টার্কটিকার কয়েকটি এলাকা থেকেও দৃশ্যমান হবে ওই গ্রহণ। এবারের বিশেষত্ব হল সূর্যকে ঢাকবে ওই কৃষ্ণ চন্দ্র। ব্ল্যাক মুন নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা অবশ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নেই। তবে তাঁরা বলছেন মাসের দ্বিতীয় ‘নিউ মুন’ অর্থাৎ অমাবস্যার পরে চাঁদের যে রূপ তা ‘কালো’। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে সেই সময় চাঁদের অন্ধকার গোলাকার অংশ পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়। তবে হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে চাঁদের এই রুপের দেখা পাওয়া বিরল অভিজ্ঞতা। প্রতি ৩২ মাস অন্তর এই কালো চাঁদ দেখা যায়, এবার সূর্যগ্রহণের নেপথ্যে থাকছে ব্ল্যাক মুন।
ওই দিন অমাবস্যা। মনে করা হয় গ্রহণ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ হয় না। সেই সময় পুজো পাঠও বন্ধ থাকে। যে কোনও গ্রহণের পর বিশেষ কিছু নিয়ম থাকে যেগুলো মেনে চললে খুব উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে যে নিয়মটা বিশেষ ভাবে পালন করা উচিত তা হল গ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্নান করে নেওয়া। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও গ্রহণের শুভ বা অশুভ প্রভাব কিছুটা হলেও প্রত্যেকটা রাশির ওপর পড়ে। এই গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছেন জ্যোতির্বিদরা।
