বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কুলের পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনতে চায় রাজ্য। তবে তার আগে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের নতুন সিলেবাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, একদশক পর করা বর্তমান স্কুল সিলেবাসের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। পঠনপাঠনকে আরও জীবনমুখী করা দরকার। যাতে সাহিত্য, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানের পাশাপাশি ছেলেমেয়েরা ক্লাস রুম থেকেই জীবনের বাকি পথ চলার ধারনা তৈরি করে নিতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সে কাজ করা হবে না। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকমণ্ডলীর মতামত নেওয়া হবে।

সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতি তৈরির জন্য গঠিত কমিটি রাজ্যের বিকল্প শিক্ষানীতি তৈরির জন্য গঠিত ১০ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যে ৬০টি বই সিলেবাসে আছে। এই সব ক’টি বই কুরিয়ার করে তাঁকে আগেই পাঠানো হয়েছে। আমেরিকা থেকে বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন তিনি।রাজ্যে স্কুল শিক্ষায় সিলেবাস বদলের কাজ শুরু হয়েছিল বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর থেকে। দফায় দফায় বিভিন্ন ক্লাসের সিলেবাসের পরিবর্তন করা হয়। যেমন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন-সহ বেশ কিছু গণ-আন্দোলন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রাজ্য সরকার আবার দেখে নিতে চাইছে চলতি সিলেবাস কতটা সময়োপযোগী। তাছাড়া এখন সিলেবাস পর্যালোচনার আরও একটি কারণ কেন্দ্রের শিক্ষানীতি। দিল্লির অনেক সুপারিশের সঙ্গে রাজ্য একমত নয়। দেশের চলতি রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতেও সিলেবাসের সময়োপযোগী পরিবর্তন জরুরি বলে সরকারি শিক্ষা মহল মনে করছে।

আরও পড়ুন- অমিত শাহর কুৎসিত রাজনীতি, পাল্টা ধুয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব
