ফিরে এল বিভীষিকা! পথে বসলেন দুর্গা পিটুরি লেনের বাসিন্দারা

ইতিমধ্যেই প্রায় ৮২টি পরিবার নিজেদের ঘরসংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ফিরতে পারবেন চেনা আশ্রয়ে? "আমরা এই বিভীষিকার মধ্যে আর থাকতে চাই না", বলছেন বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনের (Durga Pituri Lane) গৃহহীন বাসিন্দারা।

২-৩ দিন ধরেই কাঁপছিল বাড়ি,অবশেষে সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির (terrible situation)মুখোমুখি হতেই হল। চোখে মুখে আতঙ্কের (Terror)ছাপ এখনও স্পষ্ট, সঙ্গে একরাশ অসহায়তা। নিজের বাড়ি(Own house),কেউ বা ভাড়া আছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম। কিন্তু আজ তাঁরা রাস্তায়, সঙ্গে ঘরের আসবাবপত্র কারণ এই মুহূর্তের গন্তব্য কোনও এক স্থানীয় হোটেল(Hotel)। ২০১৯ এর পর ২০২২- প্রায় আড়াই বছর পরে সেই ভয়ঙ্কর রাতের স্মৃতি ফিরল বউবাজারে(Bowbazar)। সকালেও তারই পুনরাবৃত্তি।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West metro) কাজ চলাকালীন ফের বউবাজারের (Bowbazar) দুর্গা পিটুরি লেনে একাধিক বাড়িতে ফাটল । গতকালের পর আজ ফের ফাটল ধরায় চিন্তামগ্ন বাসিন্দারা। এমনকি রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি ২-৩ দিন ধরেই কাঁপছিল বাড়ি। ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা । রাস্তায় এলেও সেখানে ফাটল দেখতে পান তাঁরা । মাঝে মধ্যে কেঁপে উঠছে বাড়ি । দুশ্চিন্তা কিছুতেই কাটছে না, বেলা যত গড়িয়েছে ততই বাড়ি ছাড়ার লাইন বেড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮২টি পরিবার নিজেদের ঘরসংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ফিরতে পারবেন চেনা আশ্রয়ে? “আমরা এই বিভীষিকার মধ্যে আর থাকতে চাই না”, বলছেন বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনের (Durga Pituri Lane) গৃহহীন বাসিন্দারা।

রাজ্যকে অশান্ত করার চক্রান্ত, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ কামতাপুর পিপলস পার্টির

মেট্রোর কাজ চলাকালীন ১১টি জায়গা দিয়ে সুড়ঙ্গে জল ঢুকছিল। তার জেরেই মাটি ধসে বউবাজারের পরপর বাড়িতে ফাটল বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ১১টি উৎসের মধ্যে ১০টি বন্ধ করা গেছে, দাবি কেএমআরসিএল সূত্রে। সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাতেই ঘটনাস্থলে যান মেট্রোর আধিকারিকরা এবং পুলিশ প্রশাসন ৷ আজ সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কাল রাতের পর এদিন দুপুরে ফের ঘটনাস্থলে যান এলাকার বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (Naina, কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, কেএমআরসিএল-র ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা । সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad hakim)  বলেন, পুরনো বাড়ি রাখা কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বিল্ডিং বিভাগকে। ইঞ্জিনিয়াররা অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কোন বাড়ি বেশি বিপজ্জনক তা চিহ্নিত করা হবে। পুরসভার রিপোর্ট নিয়ে নবান্নে হবে বৈঠক হবে বলেও জানান মেয়র।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বউবাজার অঞ্চলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল বোরিং-এর সময় দু’টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল ৷ ধসে পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি । ঘটনার জেরে প্রায় ৪০-৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাতারাতি ভিটেছাড়া হয়েছিলেন বহু মানুষ । সম্পূর্ণ ভেঙে দিতে হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি । এরপর হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা । ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় , পাশাপাশি বসবাস শুরু হয়। কিন্তু ফের এই ঘটনায় ত্রস্ত বাসিন্দারা। ফের পথে বসলেন বাসিন্দারা।



Previous articleDelhi Capitals: ম‍্যাচ জিতে মার্শের প্রশংসায় ডেভিড ওয়ার্নার
Next articleআগামী ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭ আসনে নির্বাচন, ঘোষণা কমিশনের