ঘটনার দু’দিন পর অবশেষে গ্রেফতার অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্য মৃত্যু কাণ্ডে অভিযুক্ত সাগ্নিক চক্রবর্তী। পল্লবীর পরিবারের তরফে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরই প্রেমিক তথা লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিককে গ্রেফতার করল গড়ফা থানার পুলিশ।
গত রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আত্মহত্যার ইঙ্গিত করলেও সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হন অভিনেত্রীর পরিবার। সেই মর্মে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই সাগ্নিককে লাগাতার জেরা শুরু করে গড়ফা থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা আজ, মঙ্গলবার দিনভর পল্লবী দে’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। জেরায় সাগ্নিকের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পল্লবীর অস্বাববিক মৃত্যুর পর সাগ্নিকের বিরুদ্ধে তাঁদের মেয়ের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনে পরিবার। জানা গিয়েছে, ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন সাগ্নিক। যার মধ্যে ৫৭ লাখ টাকা পল্লবী দিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটের EMI দিতেন পল্লবী। দু’জনের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটও ছিল।
পল্লবীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন করতেন সাগ্নিক। তাঁরা একসঙ্গে থাকাও শুরু করেছিলেন। বিষয়টিতে সায় ছিল পল্লবীর পরিবারের। কিন্তু বিয়ের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন করলেও সাগ্নিক অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এছাড়া সাগ্নিকের আরও একটি বিয়ে ছিল বলেও জানা গিয়েছে। যা নিয়ে সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে চূড়ান্ত অশান্তি লেগে থাকতো। সব মিলিয়ে পল্লবীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাগ্নিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূলত সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- লখনউয়ের নাম বদলে এবার কি লক্ষ্মণপুরী? যোগীর টুইট ঘিরে জল্পনা