সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকায়ুক্ত কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। আর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নাম।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “গত ২৭ ডিসেম্বর লোকায়ুক্ত নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। তখন থেকেই অসীম রায় কাজ করছেন। ফের তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে মানবিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা। প্রচুর ফাইল জমে রয়েছে। এদিনের বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। বিচারপতি মধুমিতা মিত্রকেও সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হবে। তথ্য কমিশনার হিসেবে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি তথা অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস বীরেন্দ্র ও অবসরপ্রাপ্ত আইএএস নবীন প্রকাশের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য তিনজনের একটি কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটিতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা ও শুভেন্দু অধিকারী ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এদিনের বৈঠকে আসেননি শুভেন্দু। তবে তিনি হাজির না থাকলেও নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক হয় নবান্নে।
অন্যদিকে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে নতুন করে প্রায় ২ হাজার পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশে ৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। এছাড়া জঙ্গলমহলে বিশেষ মহিলা পুলিশ বাহিনী উইনার্সে ১৪২০ জনকে নিয়োগ করা হবে। জঙ্গলমহলে ১০৫ জন স্পেশাল হোম গার্ড নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে ৪৮টি শূন্যপদে প্রাক্তন মাওবাদীদের নেওয়া হবে। বাকি পদে প্রাক্তন মাওবাদী পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক জঙ্গলমহল সফরে মাওবাদীদের উন্নয়নের মূল স্রোতে ফেরাতে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্পেশাল হোমগার্ড বাহিনীতে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- নিত্যপুজো হোক জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া শিবলিঙ্গের, আদালতে আবেদন হিন্দু পক্ষের