Wednesday, December 3, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ফের খুলছে হিন্দুস্তান মোটর্স

Date:

Share post:

ঘুরছে ইতিহাসের চাকা। বাংলার শিল্পমানচিত্রে যোগ হচ্ছে নতুন অধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে বাংলায় তৈরি হয়েছে শিল্পবান্ধব পরিবেশ। তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পথ চলার মধ্য দিয়ে যা অন্য মাত্রা পেয়েছে শিল্পমহলে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই আবারও চাকা ঘুরতে চলেছে হিন্দমোটরে।


আরও পড়ুন:দুর্নীতি দমনে এগিয়ে আসুক মেয়েরা: রাজ্য পুলিশে মহিলা ক্ষমতায়নে জোর মমতার


যেখানে একসময় বাংলার গর্বের অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরি হত, আবারও সেখানে ফিরছে হিন্দুস্তান মোটর্স। ফিরছে বাংলা ও বাঙালির নস্টালজিয়া। হিন্দমোটরের গাড়ি কোম্পানি ফের নতুন করে নিজেদের মেলে ধরছে। চলতি অর্থবর্ষেই শুরু হবে গাড়ির উৎপাদনের কাজ। তবে এবার অন্যভাবে অন্যরূপে। সময়ের দাবি মেনে সি কে বিড়লা গ্রুপ একটু বিদেশি গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এবার তৈরি করবে স্কুটি। প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুটি তৈরি হলেও পরের ধাপে বাজারে আনা হবে চার চাকার গাড়িও। এই মুহূর্তে সংস্থার হাতে থাকা ২৮৬ একর জমিতেই নতুন করে উঠবে গাড়ি তৈরির কারখানা। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। হিন্দমোটরে সংস্থার ২৮৬ একর জমির বর্তমান বাজারমূল্য, কারখানার ছাউনি-সহ পুরোটা ধরলে প্রাথমিক পর্যায়েই বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। নতুন করে হবে কর্মসংস্থান।


সি কে বিড়লা গ্রুপের ডিরেক্টর উত্তম বোস জানিয়েছেন, একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে তাদের মউ স্বাক্ষর হয়ে গিয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তি-স্বাক্ষর হতেও বেশি দেরি নেই। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই অর্থ্যাৎ চলতি আর্থিক বছরেই স্কুটি উৎপাদন শুরু করা হবে। ঠিক হয়েছে সি কে বিড়লা গ্রুপের হাতে ৫১ শতাংশ এবং সহযোগী বিদেশি সংস্থার হাতে ৪৯ শতাংশ  অংশীদারত্ব থাকছে। হিন্দুস্তান মোটর্সের ব্র্যান্ডেই গাড়ি বাজারে আনা হবে। প্রথমে দু-চাকার গাড়ি এলেও রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের পর চার চাকার গাড়ি উৎপাদনও শুরু হবে। ১৯৪৮ সালে বাংলায় অ্যাম্বাসাডার গাড়ি তৈরির মধ্যে দিয়ে পথচলা শুরু হয় হিন্দুস্তান মোটর্সের। বাম আমলে ধুঁকতে শুরু করা হিন্দ মোটর্স ২০১৪ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আশা ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরলস চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাঙালির নস্টালজিয়াকে পুণরায় শুরু করতে। অবশেষে তাই হতে চলেছে। এই মুহূর্তে সংস্থায় মোট ৩০০ জন শ্রমিক রয়েছেন যাঁরা বেতনভুক কর্মচারী। ২০১৪ সালে সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে মোট ২৩০০ কর্মী ছিলেন। পরে ২০১৭-২০১৮ সালে ২০০০ কর্মী স্বচ্ছাবসর নেন। তাঁদের প্রাপ্য টাকাও মিটিয়ে দেওয়া হয়।


শিল্পমহল সূত্রের খবর, আপাতত সংস্থাটিতে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে। হবে। প্রথম পর্যায়ে স্কুটি তৈরি ও পরের পর্যায়ে আধুনিক মানের চার চাকার গাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর কাজ জানা টেকনিক্যাল কর্মীর। এছাড়াও অনান্য বিভাগের জন্য দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে।

spot_img

Related articles

চিনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্কুল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার চার কন্যাশ্রী

ইন্টারন্যাশনাল স্কুল স্পোর্টস ফেডারেশনের (International School Sports Federation) পরিচালনায় অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সের মহিলাদের ওয়ার্ল্ড স্কুল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপে...

লক্ষ্য চাকরি দেওয়া, চাকরিরতরা চাকরি ফিরে পাওয়ায় আমি খুশি: প্রাথমিকের রায়ে নিয়ে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে খারিজ করে প্রাথমিকের (Primary) ৩২ হাজারের চাকরি বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Division...

একনজরে আজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম

৩ ডিসেম্বর (বুধবার), ২০২৫ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০৫.৪১ টাকা, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯২.০২ টাকা দিল্লিতে...

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থে বিশেষ প্রকল্পের কথা স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস(International Day of Persons with Disabilities) হিসেবে পালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সাল...