Rail:অফিস টাইমে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা

দুর্ভোগ এড়াতে রেলের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কার্যক্ষেত্রে এতটাই অনিয়মিত যে চূড়ান্ত হয়রানিতে নাকাল সাধারণ যাত্রীরা।

ব্যান্ডেল (Bandel) জংশন স্টেশনে ইন্টার লকিং সিস্টেমের(Interlocking system) জন্য সমস্যায় পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। ট্রেন পরিষেবা (trainservice)ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ সাধারণ মানুষের মধ্যে। সিগনালিং ব্যবস্থাকে (Signal system) উন্নত করার জন্য ৭২ ঘণ্টা বন্ধ ব্যান্ডেল স্টেশন(Bandel Station)। আজ দ্বিতীয় দিনেই চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা(Passengers)।

ব্যান্ডেল এবং মগরাহাট মধ্যে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। যারে জেরে হয়রানির শিকার ট্রেন যাত্রীরা। আজ শনিবার অনেক সরকারি অফিস ছুটি থাকলেও প্রাইভেট অফিস গুলির ক্ষেত্রে এরকম কোনো সুযোগ নেই। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ এড়াতে রেলের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কার্যক্ষেত্রে এতটাই অনিয়মিত যে চূড়ান্ত হয়রানিতে নাকাল সাধারণ যাত্রীরা। রেলের (Indian Railways) অপদার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

উল্লেখ্য হাওড়া থেকে চুঁচুড়া পর্যন্ত আপ এবং ডাউনে। যে ট্রেন চালাবার কথা পূর্ব রেল জানিয়েছিল, সেই ট্রেনের নির্দিষ্ট কোনও সূচী নেই। ১ ঘন্টা অন্তর এই ট্রেন স্টাফ স্পেশাল নাম নিয়ে অনিয়মিতভাবে যাতায়াত করছে। যার জেরে সাধারণ মানুষ প্লাটফর্মে পৌঁছে বিপাকে পড়ছেন। ট্রেনে উপচেপড়া ভিড় , কোনওমতে যাওয়া গেলেও ফেরার সময় কী হবে সেই আশঙ্কা এখন থেকেই । প্রভাব পড়ছে ফেরি সার্ভিসেও। অনেকেই ভিড় এড়াতে বিকল্প হিসেবে সড়কপথ বেছে নিচ্ছেন,  যা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ট্রেনের দুর্ভোগের ছবিটা গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার স্পষ্ট বোঝা গেছিল হাওড়া স্টেশনে(Howrah  Station)। সন্ধের পর থেকেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনের অভাব থাকায়, মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আজ শনিবার সারা দিন, কাল রবিবার পুরো দিন এবং সোমবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত এই অবস্থা চললে কতটা যাত্রী ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে রেল, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন।