সেনা ছাউনিতে শত্রুর হামলা- এত হতেই পারে। কিন্তু তা বলে হাতির হানা! এমনটাই ঘটেছে বিন্নাগুড়িতে। এদিন, বিন্নাগুড়ি (Binnaguri) সেনা ছাউনির উপর দিয়ে একপাল হাতি পেরিয়ে গেল অন্য জঙ্গলে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। দলপতি শাবক-সহ প্রায় ১০০ টি হাতি (Eliphant) রয়েছে। সূত্রের খবর, ওই সেনা ছাউনির উপর দিয়েই তাদের করিডর।

বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি হয়ে রিয়াবাড়ি চা-বাগান, কাঁঠালগুড়ি চা- বাগান, চুনাভাটি চা বাগান দিয়ে হাতির দল চলাচল করে৷ ফি বছর এরা বর্ষায় গরুমারায় আশ্রয় নেয়। আবার বর্ষার পর অন্য জঙ্গলে চলে যায়। জঙ্গল সংলগ্ন ডুয়ার্সের নদীগুলো খুবই খরস্রোতা। সেই কারণে তারা বর্ষা নামার আগেই ডায়না, জলঢাকা নদী পেরিয়ে গরুমারায় চলে আসে। গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন মূর্তি নদীর গভীরতা কম এবং তুলনামূলক কম খরস্রোতা। সেই কারণে খুব সহজেই এই নদী তাদের শাবকরাও পার হতে পারে। তাই নিয়ম করে বর্ষায় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে আস্তানা গাড়ে হাতিরদল।


সেখানে আস্তানা গাড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত এখানে উঁচু জমি, ফলে বর্ষায় জল জমার প্রশ্ন নেই। দ্বিতীয়ত এখানে এই সময় প্রচুর খাবার পাওয়া যায়। গরুমারা ও মূর্তির মাঝখানে বিস্তৃর্ণ এলাকায় হাতিদের প্রিয় খাবার ঢাড্ডা, চেপ্টি, মালসা, এই ঘাষগুলির পাশাপাশি পুরন্ডিও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও বর্ষায় হাতিদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেও গরুমারাকে চিহ্নিত করেছে হাতির দল। এই সময় হাতির দল গরুমারা জাতীয় উদ্যানকে হাসপাতাল বা নার্সিং হোম হিসেবে ব্যবহার করে। এখানে তারা সন্তান ভূমিষ্ঠ করে। তিন মাস এখানেই তাদের জঙ্গলের পাঠ পড়িয়ে বর্ষার শেষে তারা অন্য জঙ্গলে পাড়ি দেয়।
