আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার চার কেন্দ্রে হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল চালিকাশক্তি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচন হলেও খুব গুরুত্ব দিয়ে এই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য নেতৃত্ব তো বটেই, বাংলা থেকে একের পর এক তারকা প্রার্থীরা এবার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলেছেন।

মঙ্গলবার শেষদিনেও তৃণমূলের প্রচার ছিল বেশ রঙিন ও জমজমাট। এদিন আগরতলা প্রেসক্লাবে স্বমহিমায় বিজেপিকে আক্রমণ করে সাংবাদিক বৈঠক করেন বলিউড তারকা তথা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। এরপর তিনি ৬,আগরতলা এবং ৮, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই মহিলা প্রার্থী পান্না দেব ও সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি বর্ণাঢ্য রোড শো’তে অংশ নেন। তিনি বলেন “আমরা অভিনেতা হলেও সমাজের কাজ করতে, মানুষের কাজ করতে রাজনীতিতে এসেছি। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে আছি। মানুষের কাজ করেছি বলেই
আমি পাঁচবার সাংসদ হয়েছি। মন্ত্রীও ছিলাম। শুধু অভিনয় জগত কেন, মানুষের কাজ করতে যে কোনও পেশার ব্যক্তি রাজনীতিতে আসতে পারেন।”

এই একই রোড-শো’তে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন টলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এদিন মিমির রোড-শো’কে কেন্দ্র করে আগরতলা অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন মিমি।
ভগবান ঠাকুর চৌহমনি থেকে মিছিল শুরু হয়ে অভয়নগর,
রাধানগর, রামনগর, বটতলা হয়ে তা শেষ হয় বড়ওদোয়ালিতে গিয়ে। প্রায় দু’ঘন্টার এই যাত্রাপথে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন মিমিকে একপলক দেখার জন্য।

আট থেকে আশি, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলের সেলফির আবদার মেটান মিমি। রাস্তা হোক বা বাড়ির ব্যালকনি, হাত নাড়িয়ে ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতানোর আবেদন জানান সাংসদ-অভিনেত্রী। বড় রাস্তায় যখন মিমির রোড-শো গিয়ে পৌঁছায়, তখন তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। অফিস-কাছারি, দোকানপাট থেকে শুরু করে মানুষ মিমিকে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমান।


মিমি নিজেও মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “মানুষের এই উচ্ছাস-উন্মাদনা বলে দিচ্ছে, উপ ₹নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে তাঁরা সমর্থন দেবেন। এরপর বিধানসভা ভোটে সরকারটাই বদলে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সন্ত্রাস মুক্ত ত্রিপুরা তৈরি হবে। রাস্তাঘাট শিক্ষা-স্বাস্থ্যর উন্নতির পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে।” এদিনের এই বর্ণাঢ্য রোড-শো জানান দিল, ত্রিপুরায় পরিবর্তন আসন্ন।

