স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি চান রেণু, কাটোয়া আদালতে দিলেন গোপন জবানবন্দি

স্বামী-সহ ৪ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি চাইছেন কেতুগ্রামের (Ketugram) রেণু খাতুন (Ranu Khatun)। নার্সের চাকরি পাওয়ায় তাঁর ডান হাতের কবজি কেটে নেন স্বামী শেখ শরিফুল ওরফে শের মহম্মদ। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সেরে উঠছেন রেণু। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন চাকরিতেও। মঙ্গলবার, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্সিং গ্রেড-২ পদে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরের দিন অর্থাৎ বুধবার কাটোয়া (Katwa) মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন রেণু।

বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমকে রেণু খাতুন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব দোষীদের যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আইনি লড়াই শুরু হল- মন্তব্য রেণুর। অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ শনিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণের দিন পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন রেণু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াতেই রেণুর কবজি কেটেছেন তিনি। “ছোট ভুলের বড় শাস্তির” ঘটনার জন্য শের মহম্মদ এখন আফসোস করছেন বলে জানান। তবে, স্বামীর কথায় কোনও বিশ্বাস নেই রেণুর। তিনি সাফ বলেন, “নিজেকে বাঁচতে এইসব কথা বলছে ও। আমি চাই আর ওরা কখনও যেন জেলের বাইরে না বেরতে পারে।“

২৭ জুন বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন। তখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দোষীদের যাবজ্জীবনের সাজার আবেদন করার ইচ্ছে রেণু খাতুনের। এদিন গোপন জবানবন্দি দেওয়ার পরে পুলিশ রেণুকে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালে রেণুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঘটনাস্থল কোজলসা গ্রামের ঘর থেকে উদ্ধার করা বিছানার চাদর, পোশাকে লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানায় পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-সহ পুলিশ-প্রশাসন পাশে দাঁড়ানোয় এদিনও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রেণু ও তার পরিবার।

 

 

Previous articleরাত পোহালেই গেরুয়া সন্ত্রাসের বাতাবরণে ত্রিপুরার উপনির্বাচন, ভোট কর্মীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে
Next articleAndhra Pradesh: পাশ করার ২৪ বছর পর এল শিক্ষকতার নিয়োগপত্র