হায়দরাবাদে দলের জাতীয় কার্যকরণী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির(Narendra Modi) সফর নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে ঘোড়া কেনাবেচার মাধ্যমে সেখানে সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে পোস্টারে। টিআরএসের তরফে “জুমলা সম্রাট মোদি” হ্যাশট্যাগ দিয়ে বিজেপি(BJP) ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে পরপর টুইট করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে বাই বাই মোদি, আবার একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে “আমরা তো শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক লুঠ করি, আপনি পুরো দেশ লুঠ করেন।” তেলেঙ্গানার বিভিন্ন জায়গায় লাল জাম্পশুট পরে হাতে পোস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলির পরিবারতন্ত্র(familisam) নিয়ে সরব হওয়া বিজেপির পাল্টা একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপির পরিবাদতন্ত্রের জ্বলন্ত চিত্র।

শনিবার হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে বিজেপির জাতীয় কার্যকরণী বৈঠক। সূত্রের খবর, বাংলার নেতাদের থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতার দিকগুলি জানতে চেয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা। শনিবার অর্থনৈতিক প্রস্তাবের পর রবিবার রাজনৈতিক প্রস্তাবনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে আগামী ৩০ বছর কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতায় আসা উচিত বিজেপির সেখানেই তিনি পরিবারতন্ত্রের কথাও বলেছেন। শাহের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানাতে পরিবার তন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তবে বিজেপির পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য, সেখানেই বিষ্ময় প্রকাশ করেছে বিরোধী নেতারা। আদতে কংগ্রেস সহ আঞ্চলিক দলগুলিকে টার্গেট করা হলেও বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও পরিবারতন্ত্রের প্রভাব যে স্পষ্ট সেকথা ভুলে গিয়েছেন অমিত শাহ, কটাক্ষ বিরোধীদের।
পিযুষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অনুরাগ ঠাকুর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিরণ রিজিজু,শান্তনু ঠাকুর, ভারতী প্রবীণ পাওয়ারের মতো একগুচ্ছ নেতা রয়েছেন। যাদের বাবারা বিজেপির শীর্ষ পদে ছিলেন। তারসঙ্গে আবার ভাইরাল হয়েছে ব্যাট হাতে খোদ অমিত শাহ ও জয় শাহের ছবি। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে এবার বাদ পড়বেন পরিবারতান্ত্রিক সদস্যরা? তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটারে তাঁদের ছবি দিয়ে লিখেছেন, “দলের বার্ষিক সম্মেলনে কারা পরিবারবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন দেখুন।”

বিজেপির দুদিনের এই জাতীয় কার্যকরণী বৈঠকে দক্ষিণের রাজ্যে দলের বিস্তার নিয়ে আলোচনার সময়ে এই ধরণের বিক্ষোভে তাই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হায়দরাবাদকে “ভাগ্যনগর” বলেছেন। অন্যান্য নেতারাও একই কথা বলেছেন। ফলে হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর রাখা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপির জাতীয় কার্যকরণী বৈঠকে।

আরও পড়ুন- ফের মিঠুনকে আনছে বিজেপি, প্রার্থী উত্তর কলকাতায়?
