“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ধরে ক্ষমা চান মিঠুন চক্রবর্তী”, কেন এমন বললেন কুণাল?

মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, "মিঠুন চক্রবর্তী কোনও সৌজন্য দেখাননি? আসলে বৃষ্টির মরশুমে কোবরা বেরিয়েছে বাংলার বুকে।"

বছর পেরিয়ে ফের গেরুয়া রাজনীতিতে সক্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। একবছর “নিরুদ্দেশ” থাকার পর কলকাতায় এসেই বিজেপি রাজ্য দফতরে বসে নতুন করে দলের কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সেলুলয়েডের “ফাটাকেষ্ট”। অন্যদিকে, মিঠুনের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ও মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja)।

এদিন তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, ”মিঠুন চক্রবর্তী বড় অভিনেতা হতে পারেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ফ্লপ, বেইমান, অকৃতজ্ঞ। ওনার যদি নূন্যতম কৃতজ্ঞতা বোধ বলে কিছু থাকে, তাহলে মিঠুন চক্রবর্তীর উচিত তাঁকে যিনি রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ছিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাওয়া”। কলকাতায় পা রেখেই মিঠুন বিজেপি পার্টি অফিসে গিয়ে দাবি করেন, বিধানসভায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। ৩ থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে। তিনি ফের কাজ করতে এসেছে। তিনি রাজনীতি নয়, মানুষনীতিতে বিশ্বাসী। মিঠুনকে পাল্টা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”এক বছর ছিলেন কোথায়? কে আসতে বারণ করেছিল? আপনি তো জাত গোখরো। আপনি এত বড় বড় কথা বললেন, তারপর আপনাকে আর দেখাই গেল না। প্রথমে এটা বুঝুন, বাংলার মানুষ কেন আপনাকে বা আপনাদের সকলকে প্রত্যাখান করল। পর্দায় মিঠুন চক্রবর্তী নিশ্চিতভাবেই সকলের প্রিয় হতে পারেন। কিন্তু রাজনীতিতে তিনি ফ্লপ, বিশ্বাসঘাতক, বেইমান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে ডেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। ইডি আর সিবিআইয়ের ভয়ে মাঝ-পথে পালিয়ে গিয়েছেন। বিজেপির হয়ে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মারার জন্য এক বছর আগে বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছে এই মিঠুন চক্রবর্তী। ওনার বাংলায় কোনও রাজনৈতিক গুরুত্ব বা প্রাসঙ্গিকতা নেই।”

কুণালের আরও দাবি, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বা স্বপন দাশগুপ্তের জায়গায় রাজ্যসভায় যেতে চান মিঠুন। তাই বিজেপির কাছে কান্নাকাটি করছেন তিনি। এক জায়গায় টানা পাঁচবছর থাকতে পারেনি। কখনও নকশাল, কখনও তৃণমূল আবার এখন বিজেপি। আসলে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ডাহা ফেল দিল্লির চোখে। তাই মিঠুনের মতো অতিথি শিল্পীকে বাংলায় পাঠিয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী কোনও সৌজন্য দেখাননি? আসলে বৃষ্টির মরশুমে কোবরা বেরিয়েছে বাংলার বুকে।”