বারুইপুরে ফিরল বর্ষার কফিনবন্দি দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়ল পাড়া

গিয়েছিলেন হাসি মুখে মা ও মামাকে নিয়ে অমরনাথে (Amarnath)। সোমবার, সেই বর্ষা মুহুরির (Barsha Muhuri) দেহ ফিরল কফিন বন্দি হয়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের (Baruipur) চক্রবর্তী পাড়ায় কান্নার রোল। সঙ্গে ফিরেছেন বর্ষার অসুস্থ মা নিবেদিতা মুহুরি, মামা সুব্রত চৌধুরী-সহ আরও ৬ জন।

মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে (Airport) দেহ নামার পর বারুইপুর পুরসভার ব্যবস্থাপনায় দেহ-সহ বাকিদের ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস, কাউন্সিলর বিকাশ দত্ত সহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলর। সোমবার, বেলায় বারুইপুর শ্মশানে বর্ষার শেষকৃত্য হয়। বিকেলে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) মৃত তরুণীর বাড়িতে যান। তাঁর অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

গত শুক্রবার আমরনাথের পথে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসের জেরে হড়পা বানে তলিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষার মা নিবেদিতা মুহুরি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান বর্ষা। পরে বর্ষার দেহ উদ্ধার হয়। আহত হয়েছেন বর্ষার মা। দুর্ঘটনার পর থেকে রাজ্য সরকারের তরফে বাঙালি পুণ্যার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল। রবিবার সন্ধেয় রাজ্য সরকারের তরফে শ্রীনগর থেকে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। সেই বিমানে দেহ-সহ বাকিদের ফেরানো হয়। গত পয়লা জুলাই বারুইপুর থেকে তিনটি পরিবারের ৭ জনের দল অমরনাথ রওনা দেয়। বর্ষা ভূগোলে এমএ পাশ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলে পিএইচডি করছিলেন। বছর তেইশের বর্ষা বরাবরই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। অমরনাথ যাওয়ার জন্য মা ও মামাকে বর্ষা রাজি করিয়েছিলেন।‌ পাড়ায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন বর্ষা। বছরে দু থেকে তিনবার বেড়াতে যাওয়ার নেশা ছিল। করোনার জন্য গত দু বছর কোথাও যেতে পারেননি। সেজন্য অমরনাথ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এই যাত্রায় শেষযাত্রা হয়ে গেল বর্ষার। এক সম্ভাবনাময় তরুণীর কফিনবন্দি দেহ ফিরল বারুইপুরের চক্রবর্তী পাড়ায়।

আরও পড়ুন- সমস্ত FIR খারিজের আর্জি নিয়ে, হাইকোর্টে “অসভ্য” ইউটিউবার রোদ্দুর রায়

Previous articleসমস্ত FIR খারিজের আর্জি নিয়ে, হাইকোর্টে “অসভ্য” ইউটিউবার রোদ্দুর রায়
Next articleবিপদ বাড়াচ্ছে করোনা, প্রশাসনের উদ্বেগ উপসর্গহীনরা