Friday, November 7, 2025

এবার আমার প্রথম একুশে জুলাই, শুনবো আর শিখবো: বাবুল সুপ্রিয়

Date:

Share post:

করোনা মহামারির জন্য দু’বছর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সবচেয়ে বড় বার্ষিক রাজনৈতিক কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ করা যায়নি। ভার্চুয়ালি হলেও ধর্মতলায় লক্ষাধিক জনসমাবেশ ঘটানো হয়নি। এবার একুশে জুলাই সমাবেশ তাই বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ আদায় করে নিয়েছে।

অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি সভা-প্রচার শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাবে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, ওয়ার্ডেই পৌর প্রতিনিধি অয়ন চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে।

এদিনের সভা থেকে যা বললেন বাবুল সুপ্রিয়

তৃণমূল একটি পরিবারের মতো। এই দলে না এলে বুঝতেই পারতাম না, তৃণমূল কীভাবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলে। আমি কুর্নিশ জানাই।

খুব ক্ষোভ, হতাশা, অপমান থেকে বিজেপি ছেড়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজনীতিতে পুনর্জন্ম দিয়েছেন। বিজেপি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিয়ে বড়াই করে। সেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পর আমি দ্বিতীয় বাঙালি, যে বাংলা থেকে বিজেপির হয়ে লোকসভায় জিতেছিলাম। কিন্তু বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী দল। একজন বাঙালি সাংসদ পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা ছিল না কেন্দ্রে?


রাজনীতিতে একটি ফোকাস দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ফোকাস। আমরা শিল্পীরা খুব সেন্টিমেন্টাল হই। তৃণমূল যেভাবে আমাকে গ্রহণ করেছে, স্বাগত জানিয়েছে তাতে আমি আপ্লুত। কৃতজ্ঞ।

একুশে জুলাই এমন একটি দিন, যার সঙ্গে ইংরেজ আমলের জালিয়ানাওয়াবাগকে তুলনা করা যায় জালিয়ানাওয়াবাগকে যেমন ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া যাবে না, ঠিক তেমনই একুশে জুলাইকেও ভোলা যাবে না।বাম আমলে এই দিনে মমতাদির সঙ্গে যাঁরা আন্দোলনে পা মিলিয়ে ছিলেন তাঁদের উপর নির্মমভাবে সিপিএমের পুলিশ গুলি চালিয়েছিল।

সেদিন দাবি ছিল, নো আইডেন্টিটি কার্ড, নো ভোট। তখন নির্বাচন কমিশন রেশন কার্ডের উপর ভিত্তি করে ভোট নিতো। কিন্তু ভোটারের থেকে রেশন কার্ড বেশি ছিল সিপিএমের সেই অত্যাচার, সন্ত্রাস আমরা দেখেছি। মমতাদি সেই সবকিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাকে বাঙালির করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একুশে জুলাই নিয়ে আমি বেশি কিছু বলবো না। এবার আমার প্রথম একুশে জুলাই। আমি থাকবো। সকলের বক্তব্য শুনবো। মমতাদির মন্ত্রে দীক্ষিত হবো। আমি খুব আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি সমস্ত কিছু ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করবো। বিজেপির স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও উৎসাহিত হবো।

*এখন গুজরাত থেকে কিছু বহিরাগত এসে বাংলাকে দখল করতে চাইছে। মা কালী নিয়ে রাজনীতি করছে। রাজভবনে রাজ্যপাল সেগুলিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাজভবনকে নাটকের মঞ্চ বানিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু এরা কালী নিয়ে রাজনীতি করে নিজেদের মুখেই চুনকালি মাখছে।*

আরও পড়ুন- Indigo Flight: মাঝ আকাশে জ্বালানি শেষ! কলকাতার জরুরী অবতরণ ইন্ডিগো বিমানের

 

spot_img

Related articles

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...

JNU-তে ফের বাম জোটের জয়জয়কার, খাতা খুলতে পারল না ABVP

ফের দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে (JNU Students' Union Elections) খাতা খুলতে পারল না এবিভিপি। JNU ছাত্র...