Wednesday, December 10, 2025

ব্যাঙ্ক বিক্রির লক্ষ্যে বিল আনছে কেন্দ্র, তালিকায় সেন্ট্রাল-ইউকো-ওভারসিস

Date:

Share post:

ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের(Bank praivatisation) লক্ষ্যে আর দেরি করতে চায় না কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Govt)। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। আর সেখানেই ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে সংশোধনী বিল পাশ করাতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। দ্রুততার সঙ্গে অন্তত দুটি বিল পাশ করাতে অর্থমন্ত্রককে পরামর্শ দিয়েছিল নীতি আয়োগ। প্রাথমিকভাবে সেই তালিকায় তিনটি নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর তা হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক(Central Bank), ইউকো ব্যাঙ্ক(UCO Bank) এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক(Indian Oversis Bank)। পাশাপাশি আইডিবিআই ব্যাঙ্ক বিক্রির প্রক্রিয়া প্রায় সমাপ্তই। আইন পাশ হলে সর্বাগ্রে সেই ব্যাঙ্ক বিক্রি করা হবে।

গত বছর বর্ষাকালীন অধিবেশনেই পাশ করানো হয়েছিল বিমা বেসরকারিকরণ আইন (জেনারেল ইনস্যুরেন্স বিজনেস ন্যাশনালাইজেশন সংশোধনী বিল)। মূলত সরকারি বিমার বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যেই। ওই বিল পাশের পর চলতি বছর এলআইসির কিয়দংশ শেয়ার বাজারে নিয়ে আসা হয়। যদিও শুরু থেকে এলআইসি শেয়ার বাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার সংসদের আসন্ন অধিবেশনে মোদি সরকার চাইছে ব্যাঙ্কিং বেসরকারিকরণের পথ প্রশস্ত করতে। এই বিল কীভাবে আনা হবে? আপাতত তারই পর্যালোচনা চলছে আইন মন্ত্রকে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল, ১৯৭০ সালে তৈরি ব্যাঙ্কিং জাতীয়করণ আইনের সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হেঁটে এবার ব্যাঙ্ক পরিচালনা থেকে সরে আসবে কেন্দ্র সরকার। আর সেই লক্ষ্যেই এই সংক্রান্ত সংশোধনী আইনের খসড়া প্রস্তুত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরও একটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি ব্যাঙ্কের পূর্ণাঙ্গ বিলগ্নিকরণ নাও করা যায়, তাহলে ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব রেখে সিংহভাগই বিক্রি করার পথে হাঁটবে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংশোধিত আইন জমা দেবে আইন মন্ত্রক। সেখানে সবুজ সঙ্কেত মিললেই তা পেশ করা হবে সংসদে। আর তা পাশ হলে এই তিনটি ব্যাঙ্ক বিক্রির পথে হাঁটবে কেন্দ্র। পাশাপাশি আগামী দিনে আরও কিছু ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণও করবে মোদি সরকার।

এর আগে মোট ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ককে সমন্বিত করে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ফলে সংখ্যাটা কমতে কমতে আপাতত ১২টিতে এসে ঠেকেছে। কেন্দ্র তা আরও কমাতে আগ্রহী। অন্তত আরও ছ’টি ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত করা সরকারের লক্ষ্য। প্রধানত স্টেট ব্যাঙ্কের (এসবিআই) ধাঁচে একটি বৃহৎ ব্যাঙ্কিং নেটওয়ার্কের রূপ দিতে চায় তারা। অর্থাৎ পরিকল্পনা সহজ, সরকারের হাতে বৃহদায়তন পাঁচটি ব্যাঙ্ক থাকবে। আগামী দিনে সেগুলির ভাগ্যেও যে বিলগ্নিকরণ অপেক্ষা করছে, তা বলাই বাহুল্য। একমাত্র এসবিআই এবং আরও কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই বেসরকারি হাতে দেওয়া অথবা সংযুক্তিকরণের লক্ষ্য সরকারের।


spot_img

Related articles

বাড়ছে আর্থিক পুরস্কারের অঙ্ক, সেরা দৌড়বিদরা আসছেন কলকাতা ম্যারাথনে

আগামী ২১ ডিসেম্বর কলকাতায় আয়োজিত হবে টাটা স্টিল ২৫কে( Tata Steel World 25K Kolkata) ম্যারাথন। এবার কলকাতা ম্যারাথনের...

সন্দেশখালিতে দুর্ঘটনায় আহত সাক্ষী: বিজেপির রাজনীতিতে উন্নাও-তুলনা তৃণমূলের

আদালতে যাওয়ার পথে সন্দেশখালির অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাক্ষীর গাড়িতে ধাক্কা ট্রাকের। সাক্ষী (witness) ভোলা ঘোষ বেঁচে...

ইন্ডিগো-র সিইও-কে এতদিনে তলব GDCA-র! মাঠে নেমে তদন্তে আধিকারিকরা

১০ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশে স্বাভাবিক হতে পারে ইন্ডিগো-র বিমান পরিষেবা। এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল সংস্থার তরফে।...

বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে বাংলার বকেয়া ৫৩৬৯৫ কোটি! তৃণমূলের চিঠি সংসদীয় কমিটিকে

কেন্দ্রের থেকে বাংলা শুধু বঞ্চনাই পেয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের ভিতরে বাইরে বাংলার বকেয়া নিয়ে দিনের পর দিন আন্দোলন...