শুভেন্দুকে পকেটমারের সঙ্গে তুলনা করলেন কুণাল! যুক্তিও দিলেন তৃণমূল নেতা

সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে নথি তুলে ধরে শুভেন্দু-সৌমেন্দু সহ অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের মেম্বারদের তোপ দেগে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন কুণাল

চোরের মায়ের বড় গলা। ট্রেনে-বাসে পকেটমারেরা যেমন ধরা পড়ার ভয়ে অন্যের দিকে আঙুল তুলে পকেটমার পকেটমার বলে চেঁচায়, শুভেন্দুও সেটাই করছে। নিজেকে বাঁচাতে অন্যদের নামে কুৎসা করছে। যাতে চুরি করে পালাতে সুবিধা হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিঁধে এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে নথি তুলে ধরে শুভেন্দু-সৌমেন্দু সহ অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের মেম্বারদের তোপ দেগে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন কুণাল।

আরও পড়ুন:কেরিয়ারের প্রথম একদিনের শতরানে ভারতকে সিরিজ দিলেন ঋষভ

কাঁথি পুরসভার পুরোনো নথি সামনে এনে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কাঁথির অধিকারী পরিবার। পুরসভার নথির সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ মিলে যাচ্ছে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের কোর্টকে দেওয়া বয়ান। আর এখন যখন কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া হচ্ছে, তখনই দেখা যাচ্ছে পুরসভা থেকে উধাও সারদা সংক্রান্ত ফাইল। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী। এরা বাইরে থাকলে সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট করবে। তাই তদন্তকারী সংস্থাগুলির উচিত হেফাজতে নিয়ে জেরা করা। সিবিআই যদি নিরপেক্ষ হয়, তাহলে নারদা ও সারদা মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করুক তারা। আর কাঁথির শ্মশান থেকে শুরু করে বাতিস্তম্ভ, সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীকেও যেন কাঁথির পুলিশ না ছাড়ে, তারও আর্জি জানান কুণাল।

মঞ্চ থেকে নথি তুলে কুণালের আরও অভিযোগ, কাঁথি পুরসভা অঞ্চলে চারতলার বেশি নির্মান অবৈধ, সেখানে সৌমেন্দু কিভাবে ২২তলা বাড়ি নির্মানের অনুমতি দিয়েছিলেন? যেখানে তাঁর সই রয়েছে। দিনের পর দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাঁথিকে বিক্রি করেছে, কাঁথির মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এই অধিকারী পরিবার। শিশির অধিকারী সব জেনে শুনে কেন চুপ করেছিলেন? কেন চোর, ডাকাত, তোলাবাজ, ব্ল্যাকমেলার, কুলাঙ্গার সন্তানদের সামলাননি তিনি? প্রশ্ন কুণালের। তাই এদের কোনওভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। জেলের বাইরে রাখা যাবে না। দিল্লির মোদি সরকার দেশ বেচে দিচ্ছে আর শুভেন্দু-সৌমেন্দুরা কাঁথি বেচে দিচ্ছে। এদেরকে ক্ষমা করা যাবে না।

শান্তিকুঞ্জের দুর্নীতিবাজ অধিকারী পরিবারের মুখোশ খুলে দেওয়ার পর এলাকার আদি বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কুণাল বলেন, “আদি বিজেপি নেতারা জেনে রাখুন এরা আপনাদের দলকে ভালোবেসে যায়নি। আপনাদের কাঁধে বন্দুক রেখে চোর-ডাকাত-ব্ল্যাকমেলাররা আসলে নিজেদের গ্রেফতারি এড়াচ্ছে। তাই এদের সঙ্গ ত্যাগ করুন।”



Previous articleকেরিয়ারের প্রথম একদিনের শতরানে ভারতকে সিরিজ দিলেন ঋষভ
Next articleতিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় ভারতের সেনাপ্রধান