শেষ পর্যন্ত ইডি দফতরে হাজিরা সোনিয়ার, বিক্ষোভরত কংগ্রেস সমর্থকদের সাথে ধুন্ধুমার পুলিশের

বেশ কিছু দিন ধরেই সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর করোনা হওয়ায় শারীরিক অসুস্থার কারণে তিনি এতদিন হাজির হননি।

দীর্ঘ টালবাহানার পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের (ED) অফিসে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Soniya Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করে ইডি।

বেশ কিছু দিন ধরেই সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর করোনা হওয়ায় শারীরিক অসুস্থার কারণে তিনি এতদিন হাজির হননি। তারপরেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোড সংলগ্ন ইডি দফতরে যান সোনিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিছুক্ষণের জন্য ইডি দফতরে যান রাহুল গান্ধীও।

এর প্রতিবাদে সকাল থেকেই, পথে নিমেছিল কংগ্রেস সমর্থকেরা। আজ দলের সদর দফতরে থেকে ইডি দফতর পর্যন্ত মিছিল করে আসে তারা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থকদের প্রবল হাতাহাতি হয়। এর আগে সকালেও ইডি-র দফতর পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস। দলের সাংসদরা প্রথমে সংসদে বিক্ষোভ দেখান। তারপরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতারের দাবি করবেন। কিন্তু তার আগেই দিল্লি পুলিশ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে ফেলে। বুধবার রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আকবর রোড। লোহার ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলা হয়েছিল কংগ্রেসের সদর দফতর। সোনিয়া গান্ধীকে ইডি দফতরে তলবের প্রতিবাদে লোকসভার দুই কক্ষেই বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সাংসদরা বিক্ষোভ (Congress Protest ) দেখান। তার ফলে সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায় বাদল অধিবেশন।

 

উল্লেখ্য, এর আগে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়াকে একইসঙ্গে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সোনিয়া করোনায় আাক্রান্ত হওয়ায় তখন হাজিরা দিতে পারেননি। যদিও রাহুলকে একাধিকবার হাজিরা দিতে হয়েছিল। পাঁচদিনে মোট ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেই সময়ও প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতারা।

 

 

 

Previous articleবুক চিতিয়ে বাংলার বাইরেও লড়বে তৃণমূল: মঞ্চ থেকেই লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন অভিষেক
Next article“নেত্রী মঞ্চে উঠতেই উধাও বৃষ্টি, নচিকেতার গলায় তখন তুমি আসবে বলে আকাশ মেঘলা…!”