সন্তানের পদবি নির্ধারণে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি রায়ে জানিয়েছে কোনও সন্তানের পদবি কী হবে তা ঠিক করতে পারবেন একমাত্র মায়েরাই (Mother)। একজন মা তাঁর সন্তানের আসল অভিভাবক (Gurdian)। সন্তানের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ সবকিছুই মাকে কেন্দ্র করে। আর সন্তানের কিসে ভালো, কিসে খারাপ তা বোঝেন একমাত্র মায়েরাই। আর সেই কারণেই সন্তানের পদবি ঠিক করার দায়িত্ব মায়ের হাতেই তুলে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি এক মহিলার মামলার ভিত্তিতে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টেও (Andhrapradesh Highcourt) মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা, কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট তাঁর দাবিকে মান্যতা দেয়নি। আর তারপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী ওই মহিলা। আর তারপরই সুপ্রিম কোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় বলে খবর।

স্বামীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন আবেদনকারী। তবে প্রথম স্বামীর পক্ষে তাঁর একটি সন্তান আছে। কিন্তু মহিলার দ্বিতীয় স্বামী সন্তানটিকে দত্তক নিতে চান। আর সেই কারনেই তিনি চান তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর পরিচয়েই পরিচিতি পাক সন্তান। আর মহিলার এমন সিদ্ধান্ত ঘিরেই পুরনো শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় গণ্ডগোল। আর যার জল গড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট পর্যন্ত। এরপরই হাইকোর্ট জানায় জন্মদাতা বাবার পরিচয়েই বড় হতে হবে সন্তানকে। অন্যথায় পদবি অবৈধ বলে ধরে নেওয়া হবে। পাশাপাশি দত্তক নেওয়া বাবাকে সৎ বাবা বলে উল্লেখ করতে হবে। তবে সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী মহিলা। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয় মহিলার দ্বিতীয় স্বামীকে সৎ বাবা বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনা সন্তানের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। তারপরই সন্তানের যাবতীয় সিদ্ধান্ত মায়ের উপরেই ছাড়ে দেশের শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মা যদি চান তাহলে সন্তানের নামের সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর পদবি ব্যবহার করতেই পারেন, সে ক্ষেত্রে আইনত বাঁধা দেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে এর আগে অভিভাবক হিসাবে একজন বাবার মতো সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে একজন মাকেও। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে যুগান্তকারী বলে মনে করেছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন- ‘‘স্যর অত্যন্ত মানবিক”, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর হাসিমুখে জানালেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা
