Manoranjan Byapari: অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে

যে মানুষ সমাজকে সর্বনাশের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন সেই জনৈক ব্যক্তির ভোট তিনি চান না, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট জানান বিধায়ক। ঠিক কী ঘটেছিল ?

তিনি কোন অন্যায়কে সমর্থন করেন না। মুখের ওপর সোজা সাপটা জবাব দিতে দুবার ভাবেন না। বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া (Guptipara, bolagarh) রথের সড়ক এলাকার একটি ঘটনাকে তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (TMC MLA Manoranjan Byapari)।

এলাকায় বেআইনি ভাবে চলা এই সব মদের আসর নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা৷ এবার সরব হলেন স্বয়ং বিধায়ক(MLA)। যে মানুষ সমাজকে সর্বনাশের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন সেই জনৈক ব্যক্তির ভোট তিনি চান না, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট জানান বিধায়ক। ঠিক কী ঘটেছিল ? কেন এই প্রসঙ্গ সকলের সামনে তুলে ধরলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী? আসলে সাম্প্রতিককালে মদ্যপান করে বহু মানুষ মারা গেছেন। তাই নিজের বিধানসভা এলাকা বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া রথের সড়ক অঞ্চলকে সুস্থ রাখতে বদ্ধপরিকর বিধায়ক। তিনি জানাচ্ছেন বেশ কিছু বছর ধরে ওই এলাকার কিছু মানুষ মদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে। তারপর যে ঘটনার সম্মুখীন হলেন তিনি তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সামনে বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন তিনি। মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, “গতকাল কিছু মানুষ আমাকে এসে জানান, মাতাল লোকগুলো মদ খেয়ে রোজ ঝগড়া, মারামারি, অকথ‍্য গালি-গালাজ করে। মেয়েদের টোন কাটে। অনেককে অনেক বলার পরেও কিছুতে ঠেক বন্ধ হচ্ছে না। আপনি কিছু একটু করুন। তাই গতকাল আমাকে যেতে হয়েছিল ওই ঠেকে। তখন ঠেক সঞ্চালক এক মহিলা, বাপরে! কী তার গলার তেজ! চেঁচিয়ে পুরো বাজারের লোক জমা করে ফেলেছিল। যেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে! বলে সে, মনে আছে ভোটের সময় আমার দরজায় হাত জোর করে দাড়িয়ে ছিলেন! আবার আসবেন না ভোট চাইতে? তখন মজা বোঝাবো!” এরপর বিধায়ক নিজেই ওই মহিলাকে যা প্রত্যুত্তর দিয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই বলছেন এমন মানুষকেই তো দরকার। কী বলেছিলেন বিধায়ক? “মহোদয়া আপনি আমাকে ভোট দিয়েছিলেন কী দেননি সেটা কে জানে! যদি দিয়ে থাকেন আর দেবেন না।”

এখানেই শেষ নয় তিনি জানান, বিশাল বাড়ির মালকিন মদ বিক্রি করছে। তাঁকে অন্য কাজ করার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হচ্ছেন না। সেই কথাও তাঁর লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেন বিধায়ক। এরপরই সকলেই তৃণমুল বিধায়ককে ধন্য ধন্য করছেন। অনেকেই বলছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এভাবে রুখে দাঁড়াবেন জনপ্রতিনিধি এটাই কাম্য। মনোরঞ্জন ব্যাপারী যা করে দেখালেন তাতে খুশি এলাকাবাসী।