৪৯ লক্ষ নগদ ও সোনা সহ গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে দল থেকে সাসপেন্ড করার পর এ বার এই ঘটনার তদন্তভার তুলে নিল CID। অভিযুক্ত ইরফান আনসারি, রাজেশ কশ্যপ এবং নমন বিকশল কোঙ্গারি নামে তিন বিধায়কের কাছে কোথা থেকে এত টাকা এল, তার উৎস খুঁজতে ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল CID-এর হাতে।

শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ইরফান আনসারি, রাজেশ কশ্যপ এবং নমন বিকশল কোঙ্গারি নামে তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। এরপর পাঁচলা থানায় কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন এনে গভীর রাত অবধি চলে গণনা। রবিবার সকালে পুলিশের তরফে জানা যায়, বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদের পরিমাণ ৪৯ লাখ টাকা এরপরই রবিবার ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা অবিনাশ পাণ্ডে ওই তিন বিধায়ককে দল থেকে সাসপেন্ড ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:যোগী ও মোদিকে সমর্থন স্ত্রীর, তালাক দিলেন স্বামী!

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডগামী একটি কালো রঙের টয়োটা গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়িটি কলকাতা থেকে আসছিল। গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গাড়ি থেকে প্রচুর ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়। গাড়িতে ছিলেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কশ্যপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিকশল কোঙ্গারি। তিন বিধায়কই কংগ্রেসের। তাঁদের আটক করা হয়। কোথা থেকে এত নগদ পেলেন এই ঘটনার কোনও তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে অভিযুক্ত তিন বিধায়ক জানান, ঝাড়খণ্ডের একটি উৎসবে শাড়ি বিতরণের জন্য তাঁরা বড়বাজার থেকে কম দামে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাতে গুয়াহাটি যান এই তিন বিধায়ক। এবং শনিবার রাতে গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসেন তাঁরা। কেন তাঁরা একরাতের জন্য গুয়াহাটি গিয়েছিলেন, তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি কংগ্রেসের এই তিন বিধায়ক। রাতভর অভিযুক্ত বিধায়কদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। রবিবার সকালেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের বিধায়কদের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিজেপির ‘অপারেশন লোটাসের’ ছায়া দেখতে পাচ্ছে বিরোধীরা৷ একই বক্তব্য কংগ্রেসের৷ দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইটে জানান, ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’-এর মুখোশ খুলে গিয়েছে হাওড়ায়৷ মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডকে বিজেপি পাখির চোখ করেছিল বলে দাবি বিরোধীদের৷ টাকা দিতে অন্য দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার মতলব এঁটেছে বিজেপি৷














