Saturday, August 23, 2025

বকেয়া ১,০০,৯৬৮.৪৪ কোটি: মোদির সঙ্গে বৈঠকে টাকা মেটানোর দাবি মমতার

Date:

Share post:

বারবার সরব হলেও রাজ্যের পাওনা বিপুল অঙ্কের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সেই ইস্যুতেই শুক্রবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির বাসভবনে ৪০ মিনিটের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের বকেয়া টাকার হিসেব ধরালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই হিসেবের অঙ্কটা ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা। একইসঙ্গে নাম বিতর্কে আটকে থাকা প্রকল্পগুলি নিয়েও কথা হয়েছে মমতা-মোদির।

প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের নির্ধারিত সময় ছিল শুক্রবার ৪.৩০ নাগাদ। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই ৪টে ২০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক হয় দু’জনের। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, যত দ্রুত সম্ভব ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের নামকরণ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত চলছে। তার জেরে কার্যত থমকে বাংলা আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনার কাজ। এই সকল প্রকল্প পুনরায় যাতে রাজ্যে চালু করা হয় তার জন্যও দাবি জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন রাজ্যের বকেয়া টাকার বিস্তারিত হিসেব লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে দেখা যাচ্ছে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, মিডমে মিল, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সহ আরও একাধিক প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ৩৯,৩২২.৬০ কোটি টাকা। অতীতে আমফান, যশ, বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের বকেয়া ৬০,৬২৯.২৮ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে মোট বকেয়া ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকার হিসেব দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এবং দ্রুত এই টাকা মেটানোর আবেদন জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বার বার টাকা মিটানোর দাবি জানানো হলেও সে বিষয়ে কর্ণপাত করেনি মোদি সরকার। এমনকি এই ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তারপরও দেখা যায়নি কোনও হেলদোল। এই ইস্যুতেই সরাসরি এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মমতা। এর পাশাপাশি ‘বাংলা আবাস যোজনা’ ও ‘বাংলা সড়ক যোজনা’ নামকরনের জেরে আটকে রাখা হয়েছে এই দুই প্রকল্পের টাকা। এর পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের বকেয়া আটকে রেখেছে মোদি সরকার। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন আবাস ও সড়ক এই দুই প্রকল্পে যেমন কেন্দ্রের টাকা রয়েছে তেমনই বাংলার টাকাও রয়েছে। ফলে যেহেতু বাংলার অংশিদারিত্ব রয়েছে, ফলে রাজ্যে এই প্রকল্প চললে বাংলার নামে আপত্তি কোথায়? এই ইস্যুতো বটেই, শুক্রবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অতীতের সমস্ত বকেয়া মেটানোর দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

spot_img

Related articles

ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্য! জেলাগুলিকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের 

রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় শনিবার নবান্নে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব...

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...