কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্র ছাত্রীদের উন্নত শিক্ষা দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে বৃত্তি দেওয়া। কিন্তু এই প্রকল্পে প্রতি বছরই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে। সম্প্রতি সংসদে পেশ করা এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য সামনে এসেছে।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল নবম এবং দশম শ্রেণীতে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমানো। রিপোর্টটি সংসদে পেশ করেছেন তফসিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান ড. কিরীট প্রেমজিভাই সোলাঙ্কি । এই বৃত্তিগুলি শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটের ঘটনাগুলি হ্রাস করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছিল যাতে এই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সক্ষম হয়। কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ সালে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি পেয়েছে এমন তফসিলি জাতি এবং উপজাতি বৃত্তির সুবিধাভোগীর সংখ্যা, যথাক্রমে ১০২৩৪, ১০১৯৫, ১০৬৩২, ৯৮৯২, ৭৪৩৬ ছিল ।

কমিটি বছরের পর বছর এই পতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পর্যবেক্ষণ করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক-ম্যাট্রিকুলেশন প্রকল্পটি পুরোপুরি কাজে লাগায়নি। এর কারণে যোগ্য শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সম্পূর্ণ সুবিধা পায়নি। যেখানে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তি যথাক্রমে ৬৯০, ৮১৮, ২০১২৪, ২১২১২ এবং ৮৫২। যা প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তির চেয়ে কম।

কমিটি এই সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সমস্ত রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনে নথিভুক্ত ছাত্রদের মোট সংখ্যা হল ১৪,৩৫,৫৬২ জন, যার মধ্যে ২,৮৭,৭৮৪ জন তফসিলি জাতি এবং ৯০,১৭৩ তফসিলি উপজাতি শ্রেণীর ছাত্র এবং তাদের শতাংশ যথাক্রমে ২০.০৪% এবং ৬.২৮%।

কমিটি স্পষ্ট জানিয়েছে যে স্কুল স্তরে সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে এখনও তথ্যের অভাব রয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা এসব প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই জন্য, কমিটি সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশিকা জারি করেছে যাতে স্থানীয় স্তরে তথ্য সাধারণের কাছে ভাষায় উপলব্ধ করা যায় যাতে ভবিষ্যতে এই জাতীয় শিক্ষার্থীরা সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে।
