রাজ্যে বাড়ছে ‘অসামাজিক’ কার্যকলাপ, একদিনে ৩৪ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার অসম পুলিশের

অসমে ৩৪ জন সন্দেহভাজনকে (Suspect) গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৪ জনের দলটি বাংলাদেশের (Bangladesh)। অসমে নতুন কোনও নাশকতার (Sabotage) ছক কষছিল তারা। আর সেই উদ্দেশেই অসমে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পও (Training Camp) অভিযুক্তরা তৈরি করে। বৃহস্পতিবার এই গোষ্ঠীর কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপ (Suspicious Activity) ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিষয় অসম পুলিশের (Assam Police) চোখে পড়ে। আর তারপরই গোয়ালপুর এলাকা থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের অনুমান, এই দলটির সঙ্গে এক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। আর সেই কারণেই তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) শুরু করেছে অসম পুলিশ।

রাজ্যের ডিজিপি (DGP) ভাস্কর জ্যোতি মহন্তের অভিযোগ, ৩৪ জনের বেশি ব্যক্তি, যারা কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। রাজ্যে এই ধরণের কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। বাংলাদেশি অভিযুক্তরা রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবিরও খুলেছে। এছাড়া অসমে একাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু নতুন গোষ্ঠীর আমদানি হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনগুলি রাজ্যের যুবদের উস্কানি দিচ্ছে। হিংসা ছড়ানোর কাজে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এমনই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himant Biswa Sarma) গলায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাইরের লোক রাজ্যে ঢুকে মাদ্রাসার ছাত্রদের মগজধোলাই (Brainwash) করছে। জেহাদি (Jihadi) হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে তাদের। যা রীতিমতো আতঙ্কের। এরপরই হিমন্ত জানান, জঙ্গি আর জেহাদি কার্যকলাপের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

সম্প্রতি নাশকতার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এর (STF) হাতে গ্রেফতার হয়েছিল দু’জন। বছর ৩৭ এর আব্দুর রাকিব সরকার এবং বছর ৩২-এর কাজি আহসান উল্লাহকে উত্তর ২৪ পরগণার শাসন থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই একাধিক নাশকতামূলক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের বক্তব্য, ধৃত দুই আদপে দেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

Previous articleবেজে গিয়েছে ডার্বির দামামা, দুই প্রধানে তুঙ্গে টিকিটের চাহিদা
Next articleElectric Scooter: কলকাতায় যাত্রা শুরু বাজাজ ইলেকট্রিক স্কুটারের