“সিবিআইয়ে আস্থা না রেখে উপায় নেই”, দিল্লির চাপে সুর নরম দিলীপের

প্রকাশ্যে সিবিআইয়ের(CBI) উপর অনাস্থা দেখিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে রিপোর্ট তলব করেছিলেন খোদ জেপি নাড্ডা(JP Nadda)। এহেন পরিস্থিতিতে এবার সুর নরম করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। জানালেন, সিবিআইয়ে ভরসা না করে উপায় নেই। তদন্ত হচ্ছে এটাই বড় কথা।

প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে তদন্তের কথা বলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি আপনার ভরসা এল সিবিআইতে? উত্তরে দিলীপ বলেন, “এছাড়া আর উপায় কী? আমাদের পোস্ট পোল ভায়োলেন্সের পর সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। যে দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, তার তদন্ত হচ্ছে, এটাই বড় কথা।” এর পাশাপাশি পুজোয় অনুদান প্রসঙ্গে সরকারকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “তৃণমূল যখন জন্মায়নি, তখন কি পুজো হতো না? তৃণমূল যখন টাকা দেয়নি, তখন কি পুজোর টাকা উঠত না? আমি বলব, যাদের স্বাভিমান আছে, তারা কেউ এই অনুদান নেবেন না। এটা পাপের টাকা।”

লাগাতার সিবিআইয়ের সমালোচনা করায় দিল্লির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই চাপে পড়ে এবার সিবিআই (CBI)নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে তদন্তের কথা বলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) প্রশ্ন করা হয়, ”তাহলে কি আপনার ভরসা এল সিবিআইতে?” তাতে দিলীপ ঘোষের জবাব, ”এছাড়া আর উপায় কী? আমাদের পোস্ট পোল ভায়োলেন্সের পর সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। যে দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, তার তদন্ত হচ্ছে, এটাই বড় কথা।” যদিও দিলীপের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে পুজো উদ্যোগতা ও শাসক দলের তরফে। জানানো হয়েছে, “ইউনেস্কোর এত বড় একটা সম্মান উদযাপন করতে চলেছি আমরা। তাতে রাজ্য সরকার সাহায্য করলে ওঁর কী সমস্যা হচ্ছে? আসলে, ওঁরা কোনও ইতিবাচক বিষয় দেখতে পারেন না, গাত্রদাহ হয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে পরপর ২ দিন সিবিআই তদন্তের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, সিবিআইতে ভরসা নেই, ইডি তার চেয়ে অনেক ভরসাযোগ্য। তাঁর অভিযোগ ছিল, সিবিআইকে বাংলায় ‘সেটিং’ করা হয়েছে। তা বুঝেই যথাযথ তদন্তের জন্য ইডিকে পাঠানো হয়েছে। এরপরই দিল্লি থেকে তাঁর এহেন মন্তব্যের জন্য রিপোর্ট চাওয়া হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে সতর্ক করেন। তাতেই সম্ভবত সিবিআইয়ের প্রতি নিজের আস্থা ফেরার কথা বললেন দিলীপ ঘোষ।