Tuesday, December 16, 2025

Honeytrap: শত্রুদের গোপন তথ্য জানতে পুতিনের অস্ত্র ‘হানিট্র্যাপ’

Date:

Share post:

শত্রুপক্ষের চাল আগে থেকে জেনে রাখতে সব সময় মুখিয়ে থাকেন রাশিয়ার (Russia)প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেন দখলের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু আমেরিকা ও তার মিত্র পক্ষের সামরিক শক্তি প্রতি মুহূর্তে আগলে রাখছে জেলেনেস্কির দেশকে। পাশাপাশি ন্যাটো বরাবরই রাশিয়ার গোপন তথ্য জানতে একের পর এক ফাঁদ পেতেছে। তাই শত্রুপক্ষের পরিকল্পনা আগে থেকে জেনে রাখতে এক ভিন্নধর্মী অস্ত্র কার্যকর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian President)। তাঁর প্ল্যানিং- এ জায়গা করে নিয়েছে ‘হানিট্র্যাপ'(Honey trap)। সুন্দরী মহিলার শারীরিক আবেদন কাত ন্যাটো কর্তা। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের তদন্তে এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

সূত্রের খবর, মারিয়া অ্যাডেলা কুহফেল্ট রিভেরা নামের এক যুবতী কাজ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্টের হয়ে। নিজেকে গয়না ব্যবসায়ী হিসেবে জাহির করে ন্যাটো কর্তাদের কাছাকাছি আসেন। কিন্তু সবটাই আগে থেকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণ তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল ন্যাটোর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। জানা যায় ওই মহিলা প্রায় বছর দশেক ধরে ইতালির নেপলস শহরে বসবাস করতেন। সেই সময় তিনি ন্যাটো এবং ইউএস সিক্সথ ফ্লিটের কর্তা ও সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন। বন্ধুত্ব কখনও আবার প্রেমের সম্পর্কেও পরিণত হয়েছে। সবে সবটাই নিজের কার্যসিদ্ধি করার লক্ষ্যে। তাঁর আসল নাম ছিল ওলগা কোলোবোভা। পরিচয় তিনি রুশ জিআরইউ সামরিক বাহিনীর একজন গুপ্তচর। তদন্ত বলছে তিনি কোলোবোভা নাপোলি মন্টে নুভোর লায়ন্স ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এটি ছিল শহরের নৌ ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থিত একটি সামাজিক ক্লাব। সামরিক বাহিনীর কর্মীদের কাছে এই ক্লাবটি ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রায়শই ন্যাটো বাহিনীর সামরিক কর্তারা ওই ক্লাবটিতে আসতেন। আর সেখানেই শরীরী আবেদনের টোপ ফেলতেন রিভেরা ওরফে কোলোবোভা। তবে তিনি একাই নন, ইতালিতে তাঁর দশ বছরের মেয়াদে এরকম আরও অনেক ন্যাটো কর্তার সঙ্গেই রোম্যান্টিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান। কোলোবোভা, নেপলস-এ থাকার সময়ে, ইউরোপ এবং আফ্রিকায় মার্কিন নৌবাহিনীর ইন্সপেক্টর জেনারেল ছিলেন কর্নেল শেলিয়া ব্রায়ান্ট। কোলোবোভার এত সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়। বরাবর শহরের সবথেকে অভিজাত এলাকাগুলিতে বাড়ি ভাড়া নিতেন। তবে, চরবৃত্তিতে এত তুখোড় মস্তিষ্ক ছিল তাঁর যে কোনও বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করেনি। এই ডাচ নর্তকীকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ করেছিল ফ্রান্স। ফরাসী আদালত অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

spot_img

Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...