বিপুল টাকা পার্থর নাকতলার বাড়িতে পৌঁছে দিতেন প্রসন্ন! এজেন্সির হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৫০ জন এজেন্টের চক্র চালাতেন প্রসন্ন। কয়েকশো নিয়োগও করিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির গড ফাদার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে।

পেশায় রঙের মিস্ত্রি। কোনওরকমে দিন গুজরান। আজ কোটি কোটি টাকার মালিক! কলকাতার মতো মেগা সিটিতে (Mega City) শহরে ১০টির বেশি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। নিউটাউনে(new town) ভিলা।কত যে জমি আছে, তার হিসাব নেই। সুন্দরবন, ডায়মন্ডহারবার, দিঘা, মন্দারমণি, ইছামতী নদীর তীরে হোটেল-কটেজ-রিসর্ট আরও কত কী!।এখানেই শেষ নয়, দার্জিলিং-এর মতো জায়গায় চা বাগান। পর্যটন ব্যবসায় টাইকুন। কী নেই প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy)!

কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তির জন্য কীভাবে অর্থের জোগান পেলেন প্রসন্ন রায়ের মতো একজন অতিসাধারণ রঙয়ের মিস্ত্রি? আসলে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চক্রের “মিডলম্যান’’-এর ভূমিকা পালন করতেন তিনি। সল্টলেকের জিডি ব্লকে তাঁর গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অফিসটি ছিল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম হটস্পট। এমনটাই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অধিকারিকরা।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এই “মিডলম্যান’’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সামনে এসেছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তদন্তকারীদের দাবি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৫০ জন এজেন্টের চক্র চালাতেন প্রসন্ন। কয়েকশো নিয়োগও করিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতির গড ফাদার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর অধীনে কাজ করত প্রায় ৫০ জন এজেন্ট। তাদের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীরা আসতেন সল্টলেকের অফিসে। টাকা লেনদেনও হতো। এরপর নিজের কমিশন রেখে সেই বিপুল নগদ একাধিক গাড়িতে পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন প্রসন্ন।

Previous articleHoneytrap: শত্রুদের গোপন তথ্য জানতে পুতিনের অস্ত্র ‘হানিট্র্যাপ’
Next articleভারতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে