অভিষেকের নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম মানুষের স্বার্থে লড়াই করবে, ছাত্রসমাবেশে বার্তা ফিরহাদের

সিবিআই-ইডি যে নিরপেক্ষ নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই এজেন্সি একদিন গ্রেফতার করেছিল অমিত শাহকে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চে নিজের বক্তব্যে শুরু থেকে শেষপর্যন্ত কেন্দ্র ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মানুষের স্বার্থে লড়াই করবেন, জীবন দিয়েও তৃণমূলকে রক্ষা করবেন। জেলে যেতে ভয় পান না। একইসঙ্গে ফিরহাদ জানান, তাঁর বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ, মানুষের স্বার্থে লড়াই, সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুন প্রজন্ম। যার নেতৃত্ব দেবেন ছাত্রযুবদের আইকন, নয়নের মণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ও নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আপনাদের দেখলে ৩৫ বছর আগের জীবন মনে পড়ে। ছাত্র আন্দোলন কোনও বাধা মানে না, কোনওকিছুকে পরোয়া করে না। ছাত্ররা জানে শুধু এগিয়ে যেতে। তাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকাল ছাত্রযুবদের অন্য চোখে দেখেন। নীতি আদর্শ নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাত্রযুবদের ভরসা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, যে ভিত তৈরি করেছেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামিদিনে সেই আন্দোলনকে আপনারা, ছাত্রযুবদের এগিয়ে নিয়ে যাবেন মানুষের স্বার্থে। আগামদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম লড়াই করবে। যে লড়াই সারাজীবন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। ৩৪ বছর বিরোধী দল করেছেন। মাথানত করেনি। আমিও জেলে গিয়েছি। জেলে যেতে ভয় পাই না। মরতেও ভয় পাইনা। জীবন দিয়ে তৃণমূলকে রক্ষা করে যাবো।”

এদিন ছাত্র সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কেউ যদি অন্যায় করে, তাহলে সেই দায় দল নেবে না। কিন্তু অন্যায় ভাবে যদি কাউকে গ্রেফতার করা হয় তা হলে প্রতিবাদ চলবে। মানুষের স্বার্থে তৃণমূলের লড়াই চলবে।”

সিবিআই-ইডি যে নিরপেক্ষ নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই এজেন্সি একদিন গ্রেফতার করেছিল অমিত শাহকে। তিনি জেলে গিয়েছেন। এই এজেন্সি জেলে পাঠিয়েছিলও। আর বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ক্লিনচিট পেয়েছেন অমিত শাহ। যেদিন নরেন্দ্র মোদি সরকার চলে যাবে, সেদিন এই এজেন্সিকে বলতে হবে, আপনারা কোনও অন্যায় করেননি। শুধু বিজেপি সরকারের চাপে আমরা এমন করেছি। যাতে কুৎসা করা যায়।”

সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলব, “তৃণমূল গরিবের দল। আমাদের প্রচার যন্ত্র নেই। সব মিডিয়া হাউসকে কিনে নিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রের কথায় তারা চলে। বিজেপি যেটা বলে দিচ্ছে সেটাই প্রচার করছে। তবে ছাত্রযুবরা আমাদের প্রচার যন্ত্র। যারা গ্রামে গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে ছড়িয়ে দেবে।

Previous articleআজ থেকে শুরু বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির, খরচ ২ কোটি টাকা
Next articleমিডিয়া ট্রায়াল চলছে, টিভির কথা শুনে সিদ্ধান্ত বদলাবেন না: ফের সরব মমতা