বিলাসবহুল রিসর্টে বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। গেরুয়া শিবিরের এমন কর্মসূচিতে মধ্যমণি রাজ্য সভাপতি, এটাই রীতি। এ রাজ্যের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এসবের মাঝেই বিরাট বিপত্তি। যা শিবিরের শুরুতেই তাল কেটেছে।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার পাঠশালার প্রথম দিন গরহাজির ৩ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

বৈদিক ভিলেজে এলাহী ব্যবস্থার মধ্যে শুরু হওয়া বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা ছিল সোমবার। সূচনা পর্বে রীতি অনুযায়ী এই ধরনের কর্মসূচিতে রাজ্য সভাপতির স্বাগত ভাষণ হয়। মঞ্চে তখন রাজ্য সভাপতিকে বরণের প্রস্তুতি তুঙ্গে। মাইক হাতে সঞ্চালকের ভূমিকায় তখন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন। দীপকবাবুর ঘোষণা, “এবার আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে বরণ করে নেবেন …।” এ পর্যন্ত বলার পরেই ব্যাস, প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির নেতানেত্রীরা হইহই করে ওঠেন। হকচকিয়ে যান সঞ্চালক তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মঞ্চে উঠতে গিয়েও ক্ষণিকের জন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কী করবেন বুঝতে পারছেন না।

দর্শকাসন থেকে তখন সঞ্চালকের উদ্দেশে টিপ্পনি শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলে অট্টহাসি হাসতে শুরু করেন। অনেকেই চাঁচিয়ে বলতে থাকেন, “সঞ্চালক হয়েছেন আর রাজ্য সভাপতির নামটাই ভালো করে জানেন না! উনি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত ভট্টাচার্য নয়!” অস্বস্তি কাটিয়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য মঞ্চে যান সুকান্ত মজুমদার। তবে দলীয় নেতাদের একাংশের কটাক্ষ, রাজ্য সভাপতির গুরুত্ব এমন যে দায়িত্ব নেওয়ার বছর পেরোতে চললেও সতীর্থ সাধারণ সম্পাদকই তাঁর সঠিক নাম বলতে পারছেন না।

তবে বিপত্তির শেষ এখানে নয়। দলের সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল একটি পর্বে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “বন্দেমাতরম” পরিবেশন করতে গিয়ে “হুমড়ি” খান। দু-চার লাইন গাওয়ার পর আর মনে করতে না পেরে বসে যান। যা নিয়েও শুরু হয়েছে কটাক্ষ।
