বউবাজারের মেট্রো দুর্ঘটনার তৃতীয় বছরে মোমবাতি মিছিল স্বজনহারাদের

নির্বাক মিছিলেও মোমবাতির আলোয় জ্বলজ্বল করছিল স্লোগান-"ঘর হারাবার তৃতীয় বছর! মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, আমাদের আগের বাড়ি ফিরিয়ে দাও।" এদিন ট্রাম লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যান ছোট ছোট শিশু থেকে বয়স্ক মানুষেরাও।

দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিনটে বছর, তবু আজও বউবাজারের (Bowbazar)  বাসিন্দাদের মনে টাটকা হয়ে রয়েছে মেট্রোর কাজের দুর্ঘটনার (accident) স্মৃতি। এবার রাস্তায় নেমে মোমবাতি মিছিল করে এক নির্বাক প্রতিবাদ। যাঁরা চলে গেছেন তাঁদের আর ফেরানো সম্ভব নয়। কিন্তু ফিরে পাওয়া যাবে কি নিজেদের ভিটে মাটি? দুর্গাপিটুরি লেনের (Durga Pituri Lane) বাসিন্দাদের প্রশ্ন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের (Kolkata Metro Rail Corporation) দিকে।

২০১৯-এর ৩১ অগাস্টের পর, ২০২২ মাসের ১১ মে মেট্রোর কাজের জন্য চুরমার হয়ে যায় বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেনের বাসিন্দাদের বাড়ি। এক মুহূর্তে আচমকা মাথার ছাদ সরে যায়। ধাক্কা লাগে রুজিরুটিতে। নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র। অনিশ্চয়তার জীবন শুরু হয়ে যায় সেই থেকেই। তিন বছর আগের স্মৃতিকে স্মরণ করেই ২০২২ সালের ওই একই দিন অর্থাৎ  ৩১ অগাস্ট দুর্গাপিটুরি লেন, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট (B B Ganguly Street Crossing) ক্রসিংয়ে এক মোমবাতি মিছিলের (Candel Walk)  আয়োজন করলেন বাস্তুহারা অসহায় বাসিন্দারা। নির্বাক মিছিলেও মোমবাতির আলোয় জ্বলজ্বল করছিল স্লোগান-“ঘর হারাবার তৃতীয় বছর! মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ, আমাদের আগের বাড়ি ফিরিয়ে দাও।” এদিন ট্রাম লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যান ছোট ছোট শিশু থেকে বয়স্ক মানুষেরাও। এলাকার কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে (Biswarup Dey) বলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুততার সঙ্গে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছে। উল্লেখ্য বউবাজারের মেট্রোর কাজের সময় যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে বহু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন একাধিক ব্যবসায়ী। প্রথম পর্যায়ে ১৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (KMRCL)। ধর্মতলার অফিসে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন চৌরঙ্গীর তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (Nayna Bandopadhyay)। তিনি বলেন, “বিশাল ক্ষতি হয়েছে, ভরসার জায়গা, কিছুটা টাকা পেল।” কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন সূত্রে খবর মাটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সবুজ সঙ্কেত পেলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি ভেঙে নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।

Previous articleপরিচারিকাকেই নয় নিজের ছেলের উপরও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে
Next articleউপত্যকায় জঙ্গি নাশকতার চাল বানচাল করল ভারতীয় সেনা