মাত্র ৯ মিনিটে মার্সিডিজ গাড়িটি পাড়ি দিয়েছিল ২০ কিলোমিটার। গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। ভয়ঙ্কর এই গতিই টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা(Investigator)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটাও জানতে পেয়েছে গাড়িতে থাকাকালিন সিটবেল্ট পরেননি সাইরাস মিস্ত্রি(Syras Mistri)। দুর্ঘটনার আগের সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইতে ফেরার সময় রবিবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ মুম্বই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে পালঘরের চারোটি এলাকায় নদীর সেতুর উপরে থাকা ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সাইরাসদের গাড়ি। গাড়িটিতে সেই সময় সাইরাস ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন তাঁর বন্ধু দারিয়াস পাণ্ডোলে এবং স্ত্রী অনাহিতা। এছাড়া ছিলেন অনাহিতার ভাই জাহাঙ্গির। দারিয়াস ঘরনি বিখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনাহিতাই চালাচ্ছিলেন গাড়িটি। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইরাস মিস্ত্রি ও জাহাঙ্গিরের। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গিয়েছে, নিহত জাহাঙ্গিরের বাম পা ভেঙে গিয়েছে। মাথাতে রয়েছে গভীর চোট। সাইরাসের মাথাতেও গভীর চোটের প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে সোমবার সকালে অনাহিতা এবং দারিয়াসকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক ২০ মিনিট আগের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে গাড়িটি চরোটি টোলপ্লাজা পার করে ২.২১ মিনিটে। এরপর মুম্বইয়ের পথে ২০ মিলোমিটার পার হয়ে ২.৩০ নাগাদ গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
