Thursday, August 28, 2025

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় হলফনামা তলব কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। যাঁদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে সেই হলফনামা দিতে হবে। মঙ্গলবার, এই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ১১ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীকে ২ সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দিতে হবে। ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

২৯ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banarjee) পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মামলা করেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। কীভাবে সম্পত্তির পরিমাণ এত বাড়ল সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ওইদিন মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে আমাকে একজন বলছে আপনার অনেক সম্পত্তি বেড়েছে সঙ্গে আপনার পরিবারেরও।“ এরপরেই, নিজের আয়ের খতিয়ান দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। “আমি এক পয়সাও নিই না। আমি যা টাকা পেতাম একটাও টাকা নিইনি। আমি ১ লক্ষ টাকা করে পেনশন ১২ বছর ধরে নিই না, হিসেব করে দেখুন কত টাকা হয়! ৯১ সালের পর থেকে আমি কখনও এক্সিকিউটিভ ক্লাসে চড়িনি।“ নিজের লেখা প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বই লেখা নিয়েও অসভ্যতামি চালাচ্ছে। বইমেলায় গিয়ে দেখো কার বই বেস্ট সেলার? ১০০০ কবিতার বই লিখে দেখান। আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম সমাজসেবা করব বলে” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভাই-বোনেরা সবাই আলাদা আলাদা থাকি। যে যার পরিবার নিয়ে। কখনও-সখনও দেখা হয়। উৎসবের মরসুমের সময় আমাদের যোগাযোগ হয়। রাখিবন্ধনের সময়। কালীপুজোর সময়।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, ”ওগুলো কি আমার সম্পত্তি? আমরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। মায়ের দায়িত্ব ছিল আমার। সকলের পরবর্তী প্রজন্ম হয়েছে, তারা উপার্জন করেছে। আমার তো সব ডকুমেন্ট দেওয়াই আছে।”

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version