অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি! আইপিএস দেবাশিস ধর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সুদীপ্তর বাড়িতে CID

কীভাবে তাঁর আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বাড়ল তা জানতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে সুদীপ্তর আইনজীবীর দাবি, এদিন তল্লাশি চালানোর পর বাড়ির কেয়ারটেকারকে সিজার লিস্টের প্রতিলিপি দিয়ে চলে গিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা।

হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় (Unaccounted Property Case) আইপিএস (IPS) দেবাশিস ধর ও ব্যবসায়ী (Businessman) সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বাড়ি ও অফিসে হানা সিআইডির (CID)। রবিবার সকালেই সুদীপ্তর সল্টলেকের বাড়ি সহ আরও ৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সিআইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন দেবাশিস ধর ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। আর তারপরই তৎপর হন গোয়েন্দারা। দেবাশিস কোচবিহারের পুলিশ সুপার (SP) ছিলেন। তবে শীতলকুচির (Sheetalkuchi) গুলি কাণ্ডের পর থেকে তিনি কম্পালসারি ওয়েটিং-এ (Compulsory Waiting) রয়েছেন।

আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা প্রথমে দায়ের হয় বারাকপুর কমিশনারেটে (Barrackpore Commissionerate)। পরে সিআইডি হাতে নেয় তদন্তভার (Investigation)। অভিযোগের ভিত্তিতেই রবিবার তল্লাশি অভিযান চালান রাজ্য তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ভুয়ো অফিসার (Fraud Officer) সেজে টাকা তোলার অভিযোগে সুদীপ্তর বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া সূত্র ধরেই সল্টলেকের মোট ৫ জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। শীতলকুচি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দেবাশিসের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি আধিকারিকরা। ঘটনার মূল সূত্রপাত অনেক আগেই। সুদীপ্ত নামে ওই ব্যবসায়ীকে দু’বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে নিজেকে ইডি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে সুদীপ্তর বিরুদ্ধে। এরপর ২০২০ সালে ইডির তরফ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কিছু নথি জাল করে কয়েক জন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে ভুয়ো নোটিশ পাঠিয়ে তোলাবাজি করছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে সুদীপ্ত রায় চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাতেই উঠে আসে সুদীপ্তর ঘনিষ্ঠ এই আইপিএসের নাম।

দেবাশিস ধর ২০১০ সালের আইপিএস। এর আগে বিধাননগর কমিশনারেটে তিনি অ্যাডিশন্যাল সিপি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি শীতলকুচির ঘটনার সময়ে তিনি কোচবিহারের পুলিস সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইতিমধ্যেই সিআইডি র্যাতডারে রয়েছেন। পরে দেবাশিসের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারীরা আধিকারিকরা জানতে পারেন, গত পাঁচ বছরে ২০১৫-২০১৯ সালের মধ্যে দেবাশিসের আয় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে তাঁর আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বাড়ল তা জানতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে সুদীপ্তর আইনজীবীর দাবি, এদিন তল্লাশি চালানোর পর বাড়ির কেয়ারটেকারকে সিজার লিস্টের প্রতিলিপি দিয়ে চলে গিয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা। আইনজীবীর অভিযোগ, বাড়িতে তল্লাশি করে সিআইডি কিছুই পায়নি।