‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচি নিয়ে এতো প্রচার। কিন্তু কংগ্রেস কি জোড়া লাগবে? রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা নিয়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাহুলের এই ‘লং মার্চ’ কি শেষ পর্যন্ত রাহুল-কংগ্রেস ও সোনিয়া-কংগ্রেসে জোড় লাগাতে পারবে? দেশের রাজনৈতিক সমাজের কাছে এসবই যখন প্রশ্ন তখন রাহুল এক দার্শনিক উদাসীনতা দেখিয়ে বলে চলেছেন, এই ভারত জোড়ো ভোট-রাজনীতি, দল-রাজনীতির অনেক ঊর্ধ্বে। এটা গত আট বছরে নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে দেশকে ভাগ করে যে ক্ষতি করেছে বিজেপি সরকার, এই যাত্রার মাধ্যমে তা পূরণ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।

যে ‘টুকরে টুকরে’ ভারত হয়েছে তাকে জোড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ভারত জোড়ো অভিযান। দক্ষিণের তামিলনাডুর কন্যাকুমারী থেকে এ যাত্রা শুরু হয়েছে। ৫ মাসে দীর্ঘ ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১২টি রাজ্য অতিক্রম করে এই যাত্রা শেষ হবে উত্তরে কাশ্মীরের শ্রীনগরে।
সূত্রে খবর, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিতে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যাতে অন্তত একটি বার বাংলার মাটিতেও পা রাখুন, সেটা চেয়ে দিল্লিতে আবারও বার্তা পাঠিয়েছিলেন বঙ্গ কংগ্রেসেরই একটি অংশ। কিন্তু এবারও সেই আর্জিতে ‘মান্যতা’ দেয়নি দিল্লি। এ রাজ্যের নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই ও দিল্লিও গুরুত্ব যে দিতে চাইছে না, সেটা বারবার ‘আবদার’ প্রত্যাখ্যানে স্পষ্ট হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পশ্চিমবঙ্গেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের মতবিরোধ থাকলেও সোনিয়া-মমতা সম্পর্ক মধুর। কোনওভাবেই তাতে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে, সেদিকে কড়া নজর দিয়েছেন কংগ্রেস দলনেত্রী। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে হাতে আর মাত্র বছর দেড়েক। প্রদেশ নেতৃত্ব বুঝতে রাজি না হলেও অভিজ্ঞ হাইকমান্ড খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে পাশে না পেলে মোদি জমানা শেষ করা সম্ভব নয়।

