উত্তর ভারতের গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে এনআইএ -এর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান, পাক লিঙ্কের সন্ধান !

(এনআইএ) সোমবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং রাজধানী ৬০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায়।

জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) সোমবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং রাজধানী ৬০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায়। সেই অভিযানের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, এই ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে অস্ত্রশস্ত্র বা অন্যান্য বে-আইনি সামগ্রী বিশেষ পাওয়া না গেলেও, গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসবাদী সম্পর্ক নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া উঠে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এনআইএ এই সম্পর্কে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।

এনআইএ-র একটি সূত্র জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযানে পাওয়া নথি থেকে এটা নিশ্চিত যে পাকিস্তানের আইএসআই পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী জোটকে কাজে লাগানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য স্থানীয় গ্যাংস্টারদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনার তথ্যও পাওয়া গেছে। সূত্র জানিয়েছে যে, পাতিয়ালা জেল ভাঙার ঘটনা এবং মোহালিতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদর দফতরে রকেট (আরপিজি) হামলার পরে, গত আট মাস ধরে এনআইএ, ইন্টালিজেন্স ব্যুরো এবং পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দারা গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ক ভাঙতে কাজ করছিল।সোমবারের তল্লাশি অভিযান সেই পদক্ষেপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এনআইএ-র যৌথ অভিযানে হরিয়ানার যমুনানগরে গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র প্রতাপ সিং ওরফে কালা রানার বাড়ি থেকে ছয়টি অবৈধ অস্ত্র, ৯০টি জীবন্ত কার্তুজ এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গোল্ডি ব্রারের মুক্তসারের (পাঞ্জাব) বাড়িতেও প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ কানাডাবাসী এই গ্যাংস্টারের বাড়ি থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে।এছাড়াও, গ্যাংস্টার গৌরব পাতিয়াল ওরফে লাকির বাড়ি, কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার জগ্গু ভগবানপুরিয়ার বাটালা, গুরুদাসপুরের বাড়ি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলে আটক গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এর দুতারনওয়ালী, আবহারের বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ আধিকারিকরা তাদের সাথে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর নিয়ে যায়।উদ্ধার হওয়া নথি থেকে জানা গিয়েছে গত এক দশক ধরে পাকিস্তান-ভিত্তিক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং গ্যাংস্টাররা, অল্প পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দিয়ে বেকার যুবকদের প্রলুব্ধও করেছিল।

জানা গিয়েছে, এই শ্রেণির গ্যাংস্টারদের দ্বারা পরিচালিত অন্তত দশটি ভয়ঙ্কর গ্যাং নিরাপত্তা এজেন্সির রাডারে এসেছে।গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী হরবিন্দর সিং রিন্দা, যে পাকিস্তানে রয়েছে, সে সুপরিচিত গ্যাংস্টার সহ এক হাজারেরও বেশি অপরাধীর সাথে যোগাযোগ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে । যে গ্যাংস্টাররা তার সংস্পর্শে আছে বলে জানা গেছে তাদের মধ্যে রয়েছে হরজিন্দর সিং আকাশ, প্রদীপ চান্না , জয়পাল ভুল্লর এবং দিলপ্রীত দাহা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসবাদী সংযোগের বিষয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করছে।

Previous articleপরীক্ষা বন্ধ করতে নয়া কৌশল! বোমা মেরে স্কুল ওড়ানোর হুমকি পড়ুয়ার
Next article‘দলটার বালক দশা আজও ঘুচিল না,’ সিপিএমকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের