দেশে বেকারত্ব (Unemployment) ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, তাঁদের ভবিষ্যত মজবুত করা। তাঁদের মধ্যে উৎসাহী ভাবনার সঞ্চার করা। দেশের তরুণ যুবদের সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারের থেকে যুব সমাজ কী চায় তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Congress Leader Rahul Gandhi)। শনিবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র (Bharat Jodo Yatra) নবম দিন। বর্তমানে কেরলের (Kerala) কোল্লাম জেলার নিন্দাকারায় পৌঁছেছেন সোনিয়া পুত্র। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পোস্ট করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ধুয়ে দেন রাহুল।

রাহুলের দাবি, তাঁর দলের ভারত জোড়ো যাত্রা ঘৃণার রাজনীতির উপর ভালবাসার জয় নিশ্চিত করবে। রাহুল গান্ধী বলেন, বিদ্বেষের রাজনীতির (Politics oh Hate) উপর আমাদের ভালোবাসা জয়ী হবে। মানুষ আমার সঙ্গী এবং একসঙ্গে আমরা ভারতকে সংযুক্ত করছি। এর আগে, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে, রাহুল গান্ধী একটি আবেগপূর্ণ নোট শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন যে তাঁর বাবা ‘ঘৃণার রাজনীতির শিকার’। তবে তিনি তাঁর প্রিয় দেশকে কোনওভাবেই হারাতে চান না।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। প্রায় ৩৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) তা শেষ হওয়ার কথা। শনিবার সকালে কেরলের নিন্দাকারায় (Neendakara) পৌঁছে সেখানে কাজু বাগানের কর্মী, ছোট ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতি, শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। তিনি বলেন, ভারতের যুব সম্প্রদায়কে বুঝতে পারলে, তাঁদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলেই দেশ এগোবে। শনিবার বিকেল ৫টায় চাভারা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফের যাত্রা শুরু করে করুণাগাপল্লিতে গিয়ে থামবেন পদযাত্রীরা। সেখানেই রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
