বিজয়া দশমীতে বাংলা জুড়ে মন খারাপের সুর। সেই সুরেই একত্রিত হয়েছেন দুই বাংলার মানুষ। বিজয়া দশমী যেমন একাধারে বিষাদ অপরদিকে মিলনোৎসবের দিন। রাজ্যে সেই মিলোনোৎসবের সব থেকে বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ সীমান্তে টাকি শহর। যেখানে ইছামতীর বুকে বিজয়া দশমীতে মিলে গেল দুই বাংলার মানুষ।

দু’বছর করোনার কারণে ভাটা পড়েছিল উৎসবে। এবার ফের বিজয়া দশমীতে ফিরল পুরনো ছবি। অভিনব এই প্রতিমা নিরঞ্জনের সাক্ষী হতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ইছামতীর পাড়ে। নদীর দু’পাড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু দেখা যাচ্ছে মানুষের মাথা। পরিবেশ মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাক, কাঁসর, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে। যে কোনওরকম দুর্ঘটনা কিংবা ঝামেলা এড়াতে এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাত্রীবাহী নৌকা ইছামতীর বুকে নামলেও নিজ নিজ দেশের জলসীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তাই দড়ি দিয়ে জলসীমা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। তৎপর হয়ে কাজ করেছে টাকি পুরসভা এবং বসিরহাট পুলিশের দল। টহল দিচ্ছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। পাশাপশি রয়েছে মেডিক্যাল টিম। দশমীতে ইছামতীর তীরে এ যেন এক অন্য আবেগ। ভৌগোলিক বিভাজন ভুলে গিয়ে দুই দেশ একই নদীর পাড়ে প্রতিমা নিরঞ্জনে ব্যস্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন। দুর্গোৎসব দুই দেশের বাঙালিকে বেঁধে রেখেছে এক সুতোতে।

আরও পড়ুন- পুজোতেই ঘুরল ভাগ্যের চাকা! নবমীতে টিকিট কেটে কোটিপতি নদিয়ার যুবক