প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করেই ভাসান

কিন্তু কেন এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হলো তা নিয়ে নানান মত থাকলেও, মূল কারণ হিসেবে সামনে আসছে প্রশাসনিক নির্দেশ না মানা।

জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিপর্যয়ে দশমীর সন্ধ্যায় মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান বহু মানুষ। বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে হল ৮। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

কিন্তু কেন এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হলো তা নিয়ে নানান মত থাকলেও, মূল কারণ হিসেবে সামনে আসছে প্রশাসনিক নির্দেশ না মানা।

কী সেই নির্দেশ?

১. পুলিশ বারবার নিষেধ করে নদীতে নামতে। জনা দশেক কর্মীদের প্রতিমা ভাসান দিয়ে চলে আসতে বললেও কোনও ক্লাবই সে কথা শোনেনি। বরং ভাসান দিতে আসা ক্লাব কর্মীরা পুলিশ ভাসানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে। বাধ্য হয়ে মৌখিক অনুরোধে সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।

২. গাড়ি নিয়ে নদীর মাঝখানে যেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু গোটা দুয়েক গাড়ি নিয়ে অল্প জল থাকা নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। লরিতে থাকা অধিকাংশই ফিরতে পারেনি। যারা নিষেধ উপেক্ষা করে মাঝ নদীতে চলে এসেছিলেন, তাদের ৮০ শতাংশ ফিরতে পারলেও বাকিরা ফিরতে পারেননি।

৩. প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম অনুরোধ করা হয়েছিল এনডিআরএফ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভাসানে যেতে। কিন্তু প্রচুর মানুষ নদী পাড়ে এসে জলে নেমে পড়েন। বিসর্জনের সময় সেলফি তোলার ঝোঁকও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে জানা গিয়েছে।
এখন বৃষ্টি কিছুটা কমলেও নিখোঁজদের খোঁজ পেতে উদ্ধারকারী দল আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Previous articleদশমীতে শিয়ালদহে বেপরোয়া বাসের গতির বলি ৩
Next articleমালবাজারের ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা