Sunday, November 9, 2025

সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন মুসলমানরাই, ভাগবতকে পাল্টা তোপ ওয়েইসির

Date:

ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত(Mohan Bhagwat)। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নাম না করে তিনি আঙ্গুল তুলেছিলেন দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকে সেই প্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা তোপ দাগলেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি(Asaduddin Owaisi)। তাঁর দাবি মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়নি। বরং কমছে।

কিছু দিন আগে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সওয়াল করেন সরসঙ্ঘচালক ভাগবত। তিনি বলেন, “ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য ঠিক না থাকলে তা ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তন করতে পারে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কোনও ভাবেই অগ্রাহ্য করা যায় না।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে একটি সামগ্রিক জনসংখ্যা নীতি গ্রহণের প্রয়োজন, যা সবার ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে।” ভাগবতের সেই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগে শনিবার আসাদুদ্দিন বলেন, “আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। মুসলমানদের জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বরং কমছে।” এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “কারা সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন? আমরা (মুসলমান)। মোহন ভগবত এ নিয়ে কিছু বলেন না।”

এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট তুলে ধরে ওয়েইসি জানান, “কেন্দ্রের তথ্যই বলছে মুসলিমদের জন্মহার ২ শতাংশ কমেছে। আপনি যদি তথ্য বিকৃত করেন, সেটা আপনার সমস্যা।” এক সুরে মোদিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আপনি চাকরি দেবেন না, বেতনও বাড়াবেন না। ২০৬১ সাল পর্যন্ত দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা খাবার এবং ওষুধের জন্য তাঁদের সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হবে। কিন্তু কে তাদের খাওয়াবে? বিজেপি এবং আরএসএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা খাওয়ার ব্যবস্থা না করে মুসলমানদের উপর হামলা করবে।”

Related articles

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...
Exit mobile version