১৪৪ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ টেট চাকরিপ্রার্থীরা

সল্টলেকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি লাপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ (Challenge) করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে (Justice Amrita Sinha) এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবারও হাইকোর্টে টেট আন্দোলন নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা (Public Interest Litigation) দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে করুণাময়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে টেট উত্তীর্ণদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ১৭ অক্টোবর থেকে করুণাময়ীতে এপিসি ভবনের (APC Bhawan) সামনে আমরণ অনশনে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। এরপর এখনও চাকরি না পেয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট করুণাময়ীর ওই চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দেয় এবং আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারা কার্যকর থাকবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।

১৪৪ ধারা জারির পরই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরাও মুহূর্তে নিজদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। তাঁরা ৫ জন করে দলে ভাগ হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে পুলিশ প্রশাসন টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিউ টাউন থানায় নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Previous articleটি-২০ বিশ্বকাপে অঘটন, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
Next articleপুজোয় ছুটি ১২ দিন! আগামী বছরের ছুটির তালিকা প্রকাশ নবান্নের