জেলায় জেলায় অবরোধ, অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্র বাম-বিজেপির

আদালতের(Court) নির্দেশ মেনে করুণাময়ীতে আন্দোলনরত(Protest) চাকরি প্রার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ফায়দা তুলতে ময়দানে নেমে পড়েছে বাম-বিজেপি সব পক্ষই। শনিবার জেলায় জেলায় অবরোধ করে অস্থিরতা তৈরি চেষ্টা করল বাম বিজেপি দু’পক্ষই। বীরভূম, হুগলি, শ্রীরামপুর, পশ্চিম বর্ধমান সহ একাধিক জায়গায় দেখা গেল বাম বিজেপির মিছিল।

শনিবার বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত কাঁকড়তলা থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাশাপাশি অবরোধ হয় হুগলির শ্রীরামপুরের বটতলার পাঁচমাথার মোড়ে জি টি রোড অবরোধ করা হয় বিজেপির তরফে। পরিস্থিতি সামলাতে এসে পৌঁছয় চন্দনগর কমিশনারেটের পুলিশ। পিছিয়ে ছিল না সিপিএমও। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রানিগঞ্জে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সিপিএম।

তবে রাজনৈতিক স্বার্থে বাম-বিজেপর এই অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের মূল আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছে বিরোধীরা। আর এই ফাঁদে ভুল করে পা দিয়ে ফেলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভিত্তিহীন আন্দোলন ও মিথ্যাকে হাতিয়ার করে নাগরিক মিছিলের নামে বামেদের এই মিছিলের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

১. ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও সেখানে জোর করে রাস্তা আটকে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর পুলিশ বারবার তাদের উঠে যেতে অনুরোধ করে অনড় থাকায় সরাতে বাধ্য হয়।

২. পুলিশ অবস্থানকারীদের সরাতে কোনরকম কাদানে গ্যাস জল কামান বা লাঠি চালায়নি সরিয়ে দিয়ে এলাকা খালি করেছে।

৩. চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় না বসে আদালতে যান নি কেন? কারণ আদালতে গেলে ওদের দাবি মান্যতা পাবে না তা তারা জানেন।

৪. সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি জানে আদালতে গেলে হাড় নিশ্চিত তাই বিরোধীরা সবসময় চেয়েছে রাস্তা আটকে ধরনা চললে তাদের ফায়দা।

৫. ধরনা না চললে বিরোধীরা টিভিতে মুখ দেখাবে কি করে?

৬. ধর্মতলায় আরো একাধিক জায়গায় ঝরনা চলছে। পুলিশ তো সেখানে যায়নি। সেকথা কেন বিরোধী বা বিশিষ্টরা বলছেন না?

৭. ত্রিপুরাতে বিজেপি কি করেছে তা মনে পড়ে ১০৩২৩ জন কে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছিল। তারা আন্দোলন করেছিল ত্রিপুরা সরকার তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, জল কামান চালিয়েছে, লাঠি চালিয়েছে।

৮. উত্তরপ্রদেশে কৃষক আন্দোলনের কথা মনে পড়ে বিজেপি নেতার ছেলে আন্দোলনকারীদের ওপর গাড়ি চালালে চারজনের মৃত্যু হয়

৯. মধ্যপ্রদেশে ব্যাপন কেলেঙ্কারিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে কতজন আত্মহত্যা করেছে বিজেপি হিসাব দেবে কি?

১০. কাঁথির চিরকুমার মন্ত্রী থাকাকালীন মেদিনীপুর মুর্শিদাবাদ পুরুলিয়া জেলা থেকে কত বেআইনি নিয়োগ করেছে, মনে পড়ে?

১১. বাম আমলেও সিপিএম কিভাবে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভুরি ভুরি মানুষ ঢুকিয়েছে তা বাংলার মানুষ জানে তাদের মধ্যে কতজন যোগ্য কতজন অযোগ্য তা তারাও নিজেরা জানে।

আরও পড়ুন- বাংলা-বিহার ভাগ করে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ সফল হবে না, দাবি সুখেন্দু শেখরের

Previous articleবাংলা-বিহার ভাগ করে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ সফল হবে না, দাবি সুখেন্দু শেখরের
Next article‘নক্ষত্রের অবসর’, উৎপল সিনহার কলম