Sunday, August 24, 2025

যত দিন যাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science) তত উন্নত হচ্ছে। একের পর এক মারণ রোগের আবিষ্কার যেমন হচ্ছে তার সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশকে রোগ মুক্ত করার পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। এবার মিলল ক্যানসারের (Cancer) মোকাবেলা করার উপায়। CAR – T সেল থেরাপির (CAR -T cell therapy) মাধ্যমে এবার নতুন জীবন পেল ৮ বছরের শিশু কন্যা।

চিকিৎসকেরা বলেন ক্যানসার এমন একটা রোগ যেটা কখনোই প্রথম দিকে ধরা পড়ে না। ফলে অ্যাডভান্স স্টেজে (Advance stage) ক্যানসার ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক এই বিষয়ের উপর চিন্তাভাবনা করেই একটি দেশীয় প্রযুক্তিকে বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রাখা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা যার নাম দেন CAR – T সেল থেরাপি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই মহারাষ্ট্রের এক আট বছরের ক্যানসার আক্রান্ত শিশু কন্যাকে নবজীবন দিলেন চিকিৎসকেরা। কাজটা সহজ ছিল না, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ওই শিশুর উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকেরা ।শেষমেষ সম্মতি দেন শিশুটির বাবা। এই থেরাপি প্রয়োগ করে শিশুকন্যার দেহ থেকে ক্যানসারের সব কোষ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। আই আই টি (IIT Mumbai) এবং টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের (Tata Memorial Centre) যৌথ প্রচেষ্টায় এই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ৮ বছরের মেয়েটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। চিকিৎসকেরা বলছেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে বিদেশে গিয়ে ক্যানসার চিকিৎসার যা খরচ তার থেকে ১০ গুন কম খরচে ভারতেই সুস্থ হয়ে উঠবেন রোগীরা। গতমাসে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত ১০ জনের ওপর এই দেশীয় টি সেল প্রযুক্তির ট্রায়াল করা হয়।

অনেকেই জানতে চাইছেন এই CAR – T সেল থেরাপি আসলে কী? চিকিৎসকরা বলছেন এটা ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy)। এতে T সেল (T cell) ব্যবহার করা হয় যারা নিজেরাই ইমিউন সিস্টেমের অংশ। এই থেরাপি করার সময় রোগীর রক্ত থেকে টি সেলের নমুনা সংগ্রহ করে তার পরিবর্তন ঘটানো হয়। এই সময় জিনগত কিছু পরিবর্তনও ঘটানো হয়। যার ফলে ক্যানসার কোষ সম্পূর্ণ নির্মূল হয়। কোষ পুরোপুরি পাল্টে গেলে আবার শরীরের মধ্যে তা প্রবেশ করানো হয়। এই কোষ ক্লাউডিন (Claudine) নামক অ্যান্টিজেনকে আক্রমণ করে এবং ক্যানসার কোষগুলিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে। মূলত ব্লাড ক্যানসারের চিকিৎসায় এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়। একে কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর টি সেল থেরাপি (Chimeric antigen receptor T cell therapy) বলা হয়।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version