প্রাথমিক টেটে রেকর্ড আবেদন, পরীক্ষার্থী প্রায় ৭ লক্ষ !

সর্বোপরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নানা বিতর্কে বিদ্ধ হলেও আজও পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরিকে পাখির চোখ রেখে এগিয়ে চলেছেন তা বলাইবাহুল্য। আর ঠিক সেই কারণেই টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রাথমিকে টেট (Primary TET) পরীক্ষায় রেকর্ড আবেদন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ এমনটাই জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Board of Primary Education) । গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় শেষ হয়েছে আবেদনের সময়সীমা। শুক্রবার সকালেই এই তথ্য সামনে এসেছে। এর মাঝেই বড় ঘোষণা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly)। ২০২২ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার লক্ষাধিক অনুত্তীর্ণকে ফর্ম পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি (Judge)। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের অনুত্তীর্ণরাও এই নিয়োগে সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ পরিসংখ্যান বলছেন ১১ হাজারেরও বেশি শূন্য পদের জন্য ৭ লক্ষের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়েছে। ২০১৭ সালের টেট (TET)পরীক্ষায় বসার জন্য যতজন আবেদন করেছিলেন, ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের ২০২২ -এর আবেদনকারীর সংখ্যা।

আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অ্যাড হক কমিটির বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)সঙ্গে বৈঠক করেন সংসদ সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Paul)। এরপরেই পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরীক্ষা হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে। এর আগে ২০১৭ সালে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল আড়াই লক্ষ। মূলত ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেই পরীক্ষার জন্যই আবেদনকারীর সংখ্যা এবার প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। ইতিমধ্যেই টেটের জন্য পর্ষদের গাইডলাইন প্রকাশ হয়েছে। পাশাপাশি সিলেবাস থেকে নমুনা প্রশ্ন সবটাই প্রকাশ করেছে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন যে এবার থেকে প্রত্যেক বছর টেট হবে, বছরে দু’বার নিয়োগ হবে। টেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে কোনও তদন্ত হলে তিনি সহযোগিতা করবেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে টেট পাশ করা মানে চাকরি নয়। এই প্রথম বিএড ও ডিএলএড পাঠরতরাও (যারা এখনও ডিগ্রি পায়নি) টেটে বসতে পারছেন। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ সামনে আসার পরেও বিপুলভাবে পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা। সর্বোপরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নানা বিতর্কে বিদ্ধ হলেও আজও পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরিকে পাখির চোখ রেখে এগিয়ে চলেছেন তা বলাইবাহুল্য। আর ঠিক সেই কারণেই টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Previous articleকড়া পদক্ষেপ: দলের নির্দেশের পরই পদত্যাগ দাঁইহাটার পুরপ্রধান শিশিরের
Next articleডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য