বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে কেন বাদ সৌরভ? জনস্বার্থ মামলা দায়ের

ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবি রামপ্রসাদ সরকার।

0
1

সৌরভ তিন বছর বোর্ড সভাপতি থাকার পর গত মাসেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রজার বিনি ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৯ সালে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ ভারতীয় বোর্ডের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন। তাঁর তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তিনি বোর্ড সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে মামলা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সৌরভদের পক্ষেই রায়দান করে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে সৌরভরা আরও তিন বছর বোর্ডের দায়িত্বে থাকতে পারবেন। সেই রায় অনুযায়ী বোর্ড সচিব পদে জয় শাহ বহাল থাকলেও, সৌরভ আর দায়িত্বে থাকেননি। যদিও ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবি রামপ্রসাদ সরকার।

তিনি বলেন, ‘অ্যাপেক্স কোর্ট আরও তিন বছর, ২০২৫ সাল পর্যন্ত জয় শাহদের বিসিসিআই সচিব পদে বহাল থাকার পক্ষে রায়দান করে। তবে শাহ নিজের পদে বহাল থাকলেও, (সৌরভ) গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। এটা রাজ্যের অপমান। নিঃসন্দেহে ওঁর ছাঁটাইয়ের পিছনে কোনও না কোনও রাজনৈতিক কূটনীতি রয়েছে।’ আগামী মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে বলেই খবর।

সৌরভকে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরানোর পিছনে রাজনৈতিক কূটনীতির তত্ত্ব নতুন কিছু নয়। বহু রাজনীতিক, এমনকী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মাঝে বোর্ডের তরফে সৌরভকে আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত করা হবে বলেও জল্পনা শোনা গিয়েছিল। তবে এমনটা হয়নি। সিএবির সভাপতি পদে লড়াই করার থেকে নিজেকে বিরতই রাখেন সৌরভ। পরিবর্তে তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন তিনি। স্নেহাশিসই বাংলা ক্রিকেটের মসনদেও বসেছেন।