Wednesday, November 12, 2025

বিক্ষুব্ধ-নির্দল প্রার্থীকে মোদির “হুঁশিয়ারি” ফোন কল ভাইরাল! হিমাচলে টলমল করছে বিজেপি

Date:

হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। টলমল করছে বিজেপি। বিক্ষুব্ধ, বিদ্রোহী নেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে গেরুয়া শিবির। খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্যে এমন বেহাল দশা। বাধ্য হয়ে আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে বিক্ষুব্ধ ও নির্দল প্রার্থীদের মোদি বললেন, “আমি কিছু শুনতে চাই না। নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে যাও।”

মোদি ফোনে এমনই “নির্দেশ” দিচ্ছেন বিজেপিরই বিক্ষুব্ধ নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন এমপি কৃপাল পারমারকে।গোটা কথোপকথনটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশ জুড়ে ওই ভিডিও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কৃপাল ফোনে কিছু বলার চেষ্টা করছেন, আর উল্টোদিক থেকে নরেন্দ্র মোদি থামিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে। নির্দেশনামার সারাংশ একটাই, আগে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বাকি সব তিনি সামলে নেবেন। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রী সামান্য কে বিক্ষুব্ধ নেতাকে ফোন করলেন? কারণ, দলের টিকিট না পেয়ে কাংড়া জেলার ফতেপুর থেকে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন কৃপাল। আর শুধু তিনি একা নন, কুলুতে রাম সিং, আনিতে কিশোর লাল, নালাগড়ে কৃষাণলাল ঠাকুর, দেহরায় হোশিয়ার সিং, ইন্দোরায় মনোহর ধীমান, কিন্নরে তেজন্ত সিং নেগি—তালিকা দীর্ঘ। তাই ঘুম ছুটেছে বিজেপির। বিক্ষুব্ধদের নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর ঠেলায় পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে, আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে।

খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে ফোন করে সরে দাঁড়াতে বলতে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা বলছেন, এ থেকেই স্পষ্ট হিমাচলে কতটা চাপে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে।

নির্দল প্রার্থীকে মোদির ফোন নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “মোদি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি প্রার্থীর উপরে চাপ তৈরি করছেন। ‘ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল’-এর চেষ্টা করছেন। যাতে কৃপাল ভোটে না লড়েন। এটি প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা।”

সূত্রের দাবি, বিজেপির রাজ্য নেতারা কৃপালকে বুঝিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মোদি হিমাচলে প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই কৃপালের বিষয়ে জানতে পেরে এক স্থানীয় বিজেপি নেতার ফোন থেকে কৃপালকে ফোন করেন। মোদি তাঁকে ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন। তখনই প্রশ্ন করেন, “আপনার জীবনে আমার কি কোনও ভূমিকা রয়েছে? থাকলে সরে দাঁড়ান।” পাল্টা কৃপাল তাঁকে বলেন, “আপনার কথা আমার কাছে ভগবানের আদেশের মতো’। দু’দিন আগে ফোন এলে ভাল হত বলেও অনুযোগ করেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নড্ডা তাঁকে গত ১৫ বছর ধরে অপমান করছেন।মোদি শুনে বলেন, “সেটা আমিদেখে নেব।”

আরও পড়ুন:রাজধানীতে দূষণের মাত্রা কমতেই শিথিল বিধিনিষেধ

 

 

Related articles

আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি, চিনে ‘ব্রিকস স্কিলস কম্পিটিশন’-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে ছাত্রছাত্রীরা

ফের ইতিহাস গড়ল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি (এসএনইউ)। গত বছরের পর আবারও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত হয়েছে চিনে অনুষ্ঠিত...

বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই BLA নিয়োগে নয়া নির্দেশিকা ! কমিশনকে তোপ তৃণমূলের

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তন করে এক...

বোধি ভবনের বার্ষিক উৎসব, সংবর্ধিত অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা CBSE বিদ্যালয় বোধি ভবন কলেজিয়েট স্কুলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হল বার্ষিক অনুষ্ঠান। এই উপলক্ষে উত্তম...

সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় সৃজিত?

১৫ বছর টলিউডে রাজত্ব করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে দুর্দান্ত সব ছবি। কিন্তু এবার সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় কাজ করতে চলেছেন...
Exit mobile version